‘মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি কমে গেছে’

বক্তব্য রাখছেন আবুল কাশেম ফজলুল হক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেছেন, সম্পদ পুঞ্জিভূত হচ্ছে অল্প কিছু লোকের হাতে। তিনি বলেন, ‘মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি কমে গেছে।’  শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে বটতলায় সমগীত আয়োজিত বসন্ত উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আবুল কাশেম ফজলুল হক  বলেন, ‘প্রাচীন ভারতে বসন্ত নিয়ে অনেক কথা আছে। বসন্ত মানুষের পারস্পরিক বন্ধনের ঋতু। বাস্তবে বসন্ত কোথাও ছিল কিনা, সেটা জানা যায় না। কিন্তু মানুষের মনে বসন্ত ছিল, বসন্ত কামনা করেছে সারাবছর ধরেই। আজকের দিনে ঋতুর নানা পরিবর্তন হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন হয়েছে। বৃহদায়তন শিল্প বিশেষ করে পাশ্চাত্য দেশগুলোতে যেভাবে ব্যবহৃত হয়েছে, তাতে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গত ২০-২৫ বছরে আমাদের ঋতু অনেক বদলে গেছে। যেভাবে চলছে তাতে একসময় বাংলাদেশের বিরাট একটি এলাকা অন্তত এক-তৃতীয়াংশ পানির নিচে ডুবে যাবে। এসব বিষয়ে আমাদের সচেতনতা দরকার এবং ঋতু উদযাপনের মধ্যে দিয়ে সেই সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিজ্ঞানের আবিষ্কারের ফলে এবং নতুন প্রযুক্তিতে মানুষের উদযাপন অনেক বেড়ে গেছে। জাতি এবং রাষ্ট্রেও সম্পদ অনেক বেড়েছে। এই সম্পদ পুঞ্জিভূত হচ্ছে অল্প কিছু লোকের হাতে। সমাজে দেখা যাচ্ছে  শিথিলতা। পরিবার ভেঙে যাচ্ছে ও অসামাজিক কার্যকলাপ বেড়ে যাচ্ছে।  মানুষের মধ্যে যে সম্প্রীতি  ছিল তা কমে গেছে এবং আরও কমে যাবে। মানবিক গুণাবলী থাকছে না, শুধু টাকা ও ক্ষমতা হয়েছে মানুষের সেন্ট্রাল মোটিভ। এই বাস্তবতার পরিবর্তন দরকার। মানুষের মানবিক গুণাবলীর বিকাশ ও উন্নতি কাম্য। এই ব্যাপারটা সংগীতের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি হতে পারে। আরও নানা কর্মকাণ্ড দরকার। কেন্দ্রীয়ভাবে মানুষের শুভবোধ ভেতর থেকে জাগাতে পারে। সংগীতের চর্চার মধ্য দিয়ে মানুষের শুভবোধ জাগ্রত হতে পারে।’