উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিয়োগের ওপর হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা

সুপ্রিম কোর্টকৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের এক হাজার ৬৫০ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিয়োগের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কোটা পদ্ধতি অনুসরণ না করার অভিযোগ নিষ্পত্তিতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অভিযোগ তদন্ত করে ফল পুনঃপ্রকাশ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

জনপ্রশাসন ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)- এর চেয়ারম্যান ও কৃষি সম্প্রসারণ  অধিদফতরের মহাপরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে এসব রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. সালাহউদ্দিন দোলন।

এর আগে এক হাজার ৬৫০ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর লিখিত পরীক্ষার প্রকাশিত ফলে পাঁচ হাজার ১১৪ জনকে উত্তীর্ণ দেখানো হয়। এরপর ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এই পরীক্ষা শেষে একহাজার ৬৫০ জনকে চূড়ান্ত করে গত ১৭ জানুয়ারি ফল প্রকাশ করা হয়।

এরপর  চাকরি প্রার্থীরা ওই ফল প্রকাশে কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়নি মর্মে অভিযোগ এনে কৃষি সচিব ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে আবেদন করেন। আবেদনে অভিযোগ অনুসন্ধান করে পুনরায় ফল প্রকাশের দাবি জানানো হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় মো. রাশেদুল ইসলামসহ ৩৩ জন চাকরি প্রার্থী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।