আর্থিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার তাগিদ

বাংলা ট্রিবিউন বৈঠকি

আর্থিক খাত সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করা গেলে চলমান দুরাবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব। তাই এ খাতে সুশাসন নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছে বিশিষ্টজনেরা। দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের আয়োজনে ‘অর্থনীতির সূচক কেন অধোমুখী?’ শীর্ষক বৈঠকিতে এসব কথা বলেন তারা। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে অনুষ্ঠিত হয় বাংলা ট্রিবিউনের সাপ্তাহিক এই আয়োজন।

সিদ্দিকুর রহমান

বৈঠকে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মূল জিনিসটাই কিন্তু সুশাসন। কারণ অর্থনীতি যদি ঠিকমতো ব্যবস্থাপনা করা যায়, তাহলে আমরা মনে করি যে অনেক ক্ষেত্রেই এই দুরাবস্থা থেকে বের হওয়া সম্ভব। আর্থিক খাতে যেসব অনিয়ম দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে, এগুলোর বিষয়ে সে ধরনের উচ্চবাচ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে পাইনি। এনবিআরকে সক্ষমতা বাড়াতে হবে। ব্যবসায়ীরা কেউ ঘরে গিয়ে টাকা দিয়ে আসবে না। এক্ষেত্রে আর্থিক খাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। আর্থিক খাতে যারা অনিয়ম করছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা

গাজী টেলিভিশনের এডিটর ইন চীফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, প্রবৃদ্ধি টেকসই করতেই হবে। কিন্তু তার জন্য আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানের দিকেও তাকাতে হবে। এখানে অর্থনীতিক সুশাসনের প্রয়োজন আছে। তাতে ব্যাংকিং খাতে যারা লুটপাট করে যাচ্ছে বা চেষ্টা করছে, তাদের থামানো যাবে। যেখানে অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে, অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় হচ্ছে, সেখানে একটু তাকাতে হবে।  টাকা যেন মানুষ ভালো জায়গায় বিনিয়োগ করতে পারে, সেই ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে।

তৌফিকুল ইসলাম

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি’র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ীরা চাপে তো আছেন, ভোক্তারাও কিন্তু চাপে আছেন। এটার কারণ হল যেসব নীতি কার্যকর করা হচ্ছে না কিংবা যেগুলো কার্যকর করা হচ্ছে, তা একটি মুষ্টিমেয়  স্বার্থান্বেষী মহলের চাপে হচ্ছে। একটি গোষ্ঠী বাংলাদেশের নীতিনির্ধারণীকে জিম্মি করে ফেলেছে।

গোলাম মওলা

বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র রিপোর্টার গোলাম মওলা বলেন, খেলাপি ঋণ আদায়ে বড় ভূমিকা রাখা উচিত। আমানতকারীদের আমানত সুরক্ষা রাখার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। আর সুশাসন যদি থাকে তাহলে সবই হবে।