ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ হত‌্যা মামলায় রায় পেছালো

আদালত

রাজধানীর লালবাগের কাচ ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ চাকলাদার ওরফে ঢাকাইয়া আজিজকে অপহরণ ও  হত‌্যা মামলায় রায় পেছালো। রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান পুনরায় নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।

আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের (১৯ ফেব্রুয়ারি)  দিন ধার্য করেন।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের ৫ মার্চ সকাল ৭টায় আজিজ চাকলাদার ওরফে ঢাকাইয়া আজিজ লালবাগ রোডের বাসা থেকে খুলনা যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন। আজিজকে খুঁজে না পেয়ে তার ছোট ভাই মো. বাচ্চু মিয়া লালবাগ থানায় একটি জিডি করেন। এর ১২ দিন পর মাকসুদ ও আমানুল্লাহ নামে দুজনের বিরুদ্ধে একই থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন বাচ্চু মিয়া।

মামলার অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, মাকসুদ ও আমানুল্লাহর সঙ্গে ভাঙা কাচের ব্যবসা করতেন আজিজ চাকলাদার। তারা দুজন আজিজের কাছে ব্যবসায়িক কারণে ২৫ হাজার টাকা পেতেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। এ কারণে মাকসুদ ও আমানুল্লাহ তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তদন্ত চলাকালে রূপসা নদী থেকে আজিজের মাথার খুলি ও হাড্ডি উদ্ধার করা হয়।

এরপর ২০০০ সালের ৪ এপ্রিল লালবাগ থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক  মো. আব্দুর রাকিব খান সাত জনের নামে অভিযোগপত্র (চার্জশিট)  দাখিল করেন। অভিযুক্তরা হলো— খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদার, লস্কর মোহাম্মদ লিয়াকত, মো. নূরে আলম, ইদ্রিস জামাই, জয়নাল, জামাই ফারুক ও মো. রুস্তম আলী।

ওই অভিযোগপত্র থেকে মাকসুদ ও আমানুল্লাহকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

সাত আসামির মধ্যে সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের অন্য মামলায় ২০০৪ সালের ১০ মে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। অপর আসামি লস্কর মো. লিয়াকত বিচার চলাকালে মারা যাওয়ায় তাকেও অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

আসামি জামাই ফারুক ও ইদ্রিস জামাই কারাগারে আছে। আসামি জয়নাল ও রুস্তম আলী পলাতক। নূরে আলম নামে আরেক আসামিকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে রাজসাক্ষী করে উপস্থাপন করা হয়।

এরপর ২০০০ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। তবে হাইকোর্টের আদেশে মামলাটি দীর্ঘদিন স্থগিত ছিল। স্থগিতাদেশ উঠে গেলে ২০১৭ সালে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ছয় জন এবং রাজসাক্ষী হিসেবে নূরে আলমের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।