জাবির হলে শহীদ দিবসে নিয়ম মেনে ওড়েনি জাতীয় পতাকা

 

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলআন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের ত্যাগের স্মরণে দেশের প্রতিটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার বিধান থাকলেও নিয়ম মেনে পতাকা ওড়েনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) তিন হলে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টা পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়া হল অফিসে জাতীয় পতাকাই ওড়ানো হয়নি। আর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও ফজিলাতুন্নেসা হলের পতাকা অর্ধনমিত ছিল না। পরে এ বিষয়ে জানতে হল প্রভোস্টদের কাছে ফোন করা হলে তারা ভুল স্বীকার করে কর্মচারিদের দিয়ে দ্রুত ঠিকভাবে পতাকা ওড়ান।

বাংলাদেশের পতাকা বিধিমালার ৬(১) বিধিতে বলা হয়েছে, ‘সরকারি ভবন ও অফিসসমূহে সকল কর্মদিবসে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হবে’। আর ৪(২) বিধিতে বলা হয়েছে, ‘২১শে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।’

সকাল থেকে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কেন্দ্রীয়ভাবে শহীদ মিনারে অর্ধনমিত পতাকা উত্তোলন করা হলেও বেলা ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম খালেদা জিয়া হল অফিসে জাতীয় পতাকা ওড়েনি। আর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও ফজিলাতুন্নেসা হলে পতাকা অর্ধনমিত না রেখে পুরো উত্তোলন করা ছিল।

বেগম খালেদা জিয়া হলপতাকা না ওড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট হোসনে আরা বলেন, ‘হলের কর্মকর্তাদের বলেছিলাম পতাকা ওড়ানোর কাজটি করতে, কিন্তু তারা সেটা করেনি। এখন বিষয়টি ঠিক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যেনো এমন না হয় সে ব্যাপারে খেয়াল রাখা হবে।’

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের প্রভোস্ট আবদুল্লাহ হেল কাফীকে ফোন করলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে হলের কর্তব্যরত কর্মকর্তা মীর ফেরদৌস হোসেন বলেন, ‘এগুলো হল প্রভোস্টদের দেখার বিষয়। আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না।’

ফজিলাতুন্নেসা হলআর ফজিলাতুন্নেসা হলের ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট নাসরীন সুলতানা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘এটি ভুল হয়েছে। এর জন্য আমি দুঃখিত। বিষয়টি জানার পরে ঠিক করা হয়েছে।’

তবে পতাকা ওড়ানো নিয়ে হল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা জানান বিশেষ দিবস ছাড়াও অন্যান্য স্বাভাবিক কর্মদিবসেও নিয়মিত পতাকা ওড়ানো হয় না হলগুলোতে।

৪৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী রাকিবুল রনি বলেন, ‘হলগুলোতে নিয়ম মেনে পতাকা না ওড়ানোর বিষয়টি আমাদের জন্য লজ্জাজনক তো বটেই, বিধিরও লঙ্ঘন। দেখা যায় অন্যান্য সাধারণ দিবসেও পতাকা ঠিকভাবে ওড়ানো হয় না। এটা মোটেই ঠিক না। আশা করবো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পতাকা বিধিমালাকে গুরুত্ব সহকারে নিয়ে তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে।’