বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শিক্ষা বাণিজ্য’ চলতে পারে না: ছাত্র ইউনিয়ন

ছাত্র ইউনিয়ন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সান্ধ্যকোর্সে পাঁচ সপ্তাহের জন্য শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল। কিন্তু স্থায়ীভাবে বন্ধ না করে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি করতে আরেকটি কমিটি গঠন করেছেন উপাচার্য। কিন্তু সান্ধ্যকোর্স স্থায়ীভাবে বন্ধ না করায় ক্ষুব্ধ প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন। তারা বলেছে, ‘শিক্ষার নামে টাকা কামানোর ব্যবসা কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতে পারে না।’

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাখাওয়াত ফাহাদ ও সাধারণ সম্পাদক রাগীব নাঈমের সই করা গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ‘সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সান্ধ্যকোর্স ও সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে আলোচনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের যে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেখানে সান্ধ্যকোর্স বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্তাবকে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও  প্রতিবাদ জানাই।’

সান্ধ্যকালীন কোর্সকে ব্যবসা হিসেবে উল্লেখ করে এতে আরও বলা হয়েছে, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে যে সান্ধ্যকালীন কোর্স পরিচালিত হয় সেগুলোর চরিত্র পুরোপুরিভাবে বাণিজ্যিক। এটি পাবলিক তথা গণ-বিশ্ববিদ্যালয়ের চরিত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। শিক্ষার নামে টাকা কামানোর ব্যবসা কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতে পারে না।’

বাণিজ্যিক সান্ধ্যকোর্সের জন্য নিয়মিত শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উল্লেখ করে ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অব্যবহৃত অবকাঠামো বলতে কিছু থাকতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো তার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য সবসময় খোলা থাকবে, তারা সেই অবকাঠামো ব্যবহার করে গবেষণামূলক কাজের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষার উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যাবে। বাণিজ্যিক সান্ধ্যকোর্সের ফলে নিয়মিত শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের পর্যাপ্ত মনোযোগ ও সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আমরা সান্ধ্যকোর্সের নামে পরিচালিত এই ব্যবসা অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানাই।’