করোনা প্রতিরোধে তিন ধাপে প্রস্তুতির খসড়া

666দেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে তিন ধাপে প্রস্তুতির খসড়া তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) আইইডিসিআরে কোভিড-১৯ নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, আরব আমিরাত, ইরান ও ইটালিসহ বিশ্ব পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, নতুন করে আফগানিস্তান, ওমান, বাহরাইন ও ইরাকসহ ৩৪টি দেশে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়েছে।
কোভিড-১৯ প্রতিরোধে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কিট পাইপলাইনে আছে, কিট আসতেই থাকেবে। চীন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে আসছে।’
ডা. মীরজাদী বলেন, ‘উহান থেকে যে ৩১২ জন এসেছিলেন তাদের আশকোনা হজক্যাম্পে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনের পর আরও ১০ দিনের বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছিল। তাদের মধ্যে করোনার কোনও লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা যায়নি।’
তিনি বলেন, “তিন ধাপের প্রস্তুতির খসড়া করা হচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও আইইডিসিআরের সমন্বয়ে। আমরা এবার অনেক আগে থেকেই করোনা ভাইরাসের পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে কাজ করেছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘এ তিন ধাপের মধ্যে একটা হচ্ছে অ্যালার্ট লেভেল। যখন কোনও রোগী নেই, এখন সেই কর্মসূচি আমরা পালন করছি। যখন বিদেশ থেকে রোগী পাওয়া যাবে অল্প সংখ্যায়, সেটা আরেকটা লেভেল, আর শেষটা হলো যদি অনেক রোগী পাওয়া যায় সেই লেভেল।’
কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্কতা এবং ভ্রমণ শেষে স্ক্রিনিংয়ের মধ্য দিয়ে আসার অনুরোধ করেন অধ্যাপক ডা. মীরজাদী। তিনি বলেন, ‘যদি ১০০ বা ২০০ জন আক্রান্ত হন সেক্ষেত্রে পরীক্ষার প্রয়োজন নেই বলে নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দিলে ধরে নিতে হবে যে করোনা ভাইরাসের রোগী তারা। চিকিৎসাও হবে সেই অনুযায়ী।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর।