খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে আপিল করা হবে: মওদুদ

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ (ফাইল ফটো)

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন তার অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজের পর বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এসব কথা বলেন।

মওদুদ আহমদ বলেন, ‘সরকার ইচ্ছে করেই খালেদা জিয়াকে আটকে রেখেছে। তাই কোনও অঘটন ঘটলে এর দায় সরকারকে নিতে হবে। আমরা হাইকোর্টের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করবো।’

এদিকে খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আমরা আদালতকে বলেছি, তার জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। রিপোর্ট তুলে ধরেছি। তার চিকিৎসা যেখানে অপরেশন হয়েছে সেখানে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে হওয়া দরকার। আদালত আমাদের বক্তব্য শুনেছেন। রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য শুনেছেন। শুনে আমাদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।’ জয়নুল আবেদীন বলেন, আদালত বলেছেন, তিনি সম্মতি দিলে তাকে অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্ট দিতে। আমরা এ আদেশে সংক্ষুব্ধ। আদালতে আমাদের আবেদন গ্রহণ করা উচিৎ ছিল। কারণ, তিনিও একজন মানুষ।’

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।  জামিন আবেদনের শুনানি শেষে  বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন, মো. মাসুদ রানা, ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান প্রমুখ। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পী।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন।