বন্যপ্রাণী চোরাচালান রোধে কাজ করতে চায় ইউএসএআইডি

পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইউএসএআইডির কর্মকর্তাদের বৈঠকবন ব্যবস্থাপনা, বন্যপ্রাণী চোরাচালান রোধ ও মনিটরিংয়ে আগামী পাঁচ বছর বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা-ইউএসএআইডি। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই আগ্রহের কথা জানান ইউএসএআইডি, বাংলাদেশ এর মিশন ডিরেক্টর ডেরিক ব্রাউন। পরে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপংকর বর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

এ সময় বন ব্যবস্থাপনা, বন সম্প্রসারণ, বন্যপ্রাণী চোরাচালান প্রতিরোধ, দূষণনিয়ন্ত্রণ, পরিবেশ ডাটাবেজ প্রতিষ্ঠা, স্যাটেলাইট মনিটরিংসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে ইউএসএআইডির সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়।

ইউএসএআইডি, বাংলাদেশ এর মিশন ডিরেক্টর জানান, তার সংস্থাটি আগামী ৫ বছর বন ব্যবস্থাপনা, বন্যপ্রাণী চোরাচালান রোধ, মনিটরিং, ইউএস-এআইডি বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায়। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার/ফরেস্ট সার্ভিস এবং ইউএসএআইডি এর একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরে কাজ করছে তার সংস্থা।
তিনি বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ডাটাবেইজ প্রতিষ্ঠা, কর্মকর্তাদের সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধিতেও কাজ করা হবে।’ তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল, চট্টগ্রাম পার্বত্য এলাকা, টেকনাফ ও সুন্দরবন এলাকার প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে কাজ করা হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী বলেন,‘সব ধরনের দূষণ রোধ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের উন্নয়ন সহযোগী ইউএসএইড এর সহায়তা পেলে বন ব্যবস্থাপনা ও বনায়ন, দূষণ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম আরও জোরদার হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের পারস্পরিক আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।’

সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মাহমুদ হাসান, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মিজানুল হক চৌধুরী, প্রধান বন সংরক্ষক মো. সফিউল আলম চৌধুরী , পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. এ.কে.এম রফিক আহাম্মদ, ইউএস-এআইডি, বাংলাদেশের ইকোনমিক গ্রোথ অফিসের অফিস ডিরেক্টর ডক্টর জন স্মিথ স্রিন; ডেপুটি অফিস ডিরেক্টর (এনভায়রনমেন্ট, এনার্জি অ্যান্ড এন্টারপ্রাইজ টিম) ডক্টর প্যাট্রিক মেয়ারসহ উর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।