ঢাকা নদীবন্দরের নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা ও বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক (বন্দর) একেএম আরিফ উদ্দিন এ তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, গত বছরের ২৯ জানুয়ারি থেকে আমাদের এ অভিযান শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার অবৈধ স্থাপনা ও দেড়শ’ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানের অংশ হিসেবে আজ তিনটি একতলা পাকা ভবন, ১০টি পাকা ওয়াল ও ১০টি অন্যান্য স্থাপনাসহ মোট ২৩টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়ছে। এতে নদীর ৩ একর জমি দখল মুক্ত হয়েছে। এছাড়া অবৈধ দখলের দায়ে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার (৪ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে অভিযান ফের শুরু হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে দখল কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
তবে অভিযান চলাকালে সংসদ সদস্য আসলামুল হক দাবি করেন, তিনি অনুমতি নিয়েই এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপন করেছেন। তিনি অভিযানের বিরোধিতা করেন।
তবে বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক আরিফ উদ্দিনের দাবি, ‘সংসদ সদস্যের এ দাবি সঠিক না। ওই জায়গাটি নদীর জায়গা।’
বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক আরিফ উদ্দিন আরও বলেন, তারা (মাইশা গ্রুপ) এজন্য একটা আবেদন করেছে। কিন্তু আমরা কোনও অনুমতি দিইনি। আবেদন আর অনুমতি এক জিনিস না। তাদের এই কারখানা বৈধ না। আমরা নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করছি। আদালতের নির্দেশ মতে এ ধরনের উচ্ছেদ আমরা চালিয়ে যাবো।