জি কে শামীমের দেহরক্ষীদের বিষয়ে তদন্তে চার মাস সময়

জি কে শামীম

ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীমের (জিকে শামীম) চার দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষ করতে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে চার মাস সময় বেঁধে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়াও ওই চার দেহরক্ষীর জামিনের বিষয়ে জারি করা রুল খারিজ করেছেন আদালত। ফলে তাদের জামিন মেলেনি বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

এই চার দেহরক্ষী— মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম,  মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন এবং মো. শামশাদ হোসেন।

মঙ্গলবার (১০ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না, মাহজাবিন রাব্বানী দীপা, কাজী শামসুন নাহার কনা ও ঈশিতা পারভীন। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. শামীম সরদার।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, জিকে শামীমকে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক এবং জুয়া ব্যবসায় (ক্যাসিনো) জড়িত থাকার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়। আর এই আসামিরা হলেন শামীমের দুষ্কর্মের সহযোগী। গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

চার দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে অভিযোগ— জিকে শামীমের পাচার করা বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মুদ্রা দখলে রাখাসহ বিভিন্ন অপকর্মে শামীমকে তারা সহযোগিতা করতেন।

গত ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চ এই চার জনের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করলে, তারা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। পরে গত ৩ ফেব্রুয়ারি কেন তাদের জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।