বিমানবন্দর থেকে নেমেই সন্দেহভাজনরা যাবেন সেনা তত্ত্বাবধানে

আইএসপিআর

বিদেশফেরত যাত্রীদের দ্বারা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সাধারণ মানুষকে দূরে রাখতে এবার বিমানবন্দর থেকেই আক্রান্তদের সরাসরি  সেনা তত্ত্বাবধানে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের প্রয়োজনীয় স্ক্রিনিং করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্বাচিত ব্যক্তিদের বিমানবন্দরে প্রয়োজনীয় ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে। এজন্য ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীকে দুটি কোয়ারেন্টিন সেন্টার পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আশকোনার হাজি ক্যাম্প এবং উত্তরার ১৮ নম্বরের দিয়াবাড়ি সংলগ্ন রাজউক অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এই দুটি কোয়ারেন্টিন সেন্টার পরিচালিত হবে।

বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

 আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের বাংলাদেশে সংক্রমণ ও বিস্তৃতির সম্ভাব্যতা এবং প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেনাবাহিনী দুটি কোয়ারেন্টিন সেন্টার পরিচালনা করবে। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের প্রয়োজনীয় স্ক্রিনিং করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্বাচিত ব্যক্তিদের বিমানবন্দরে প্রয়োজনীয় ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে। হস্তান্তরের পর সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এসব যাত্রীকে বিমানবন্দর থেকে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে স্থানান্তর, ডিজিটাল ডাটা এন্ট্রি কার্যক্রম সম্পন্ন, কোয়ারেন্টিন সেন্টারে থাকাকালীন সময়ে আহার, বাসস্থান, চিকিৎসা এবং অন্যান্য আনুষাঙ্গিক সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীকে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়, সংস্থা, অধিদফতর ও বাহিনী প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আশকোনা ও উত্তরা দিয়াবাড়ী কোয়ারেন্টিন সেন্টারে দুইটি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। সকলকে নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের টেলিফোন নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে আইএসপিআর। নম্বরগুলো হচ্ছে:
আশকোনা হজ ক্যাম্প ০১৭৬৯০১৩৪২০, ০১৭৬৯০১৩৩৫০ ।
উত্তরা দিয়াবাড়ী ক্যাম্প ০১৭৬৯০১৩০৯০, ০১৭৬৯০১৩০৬২ ।