হটলাইনে ফোন, নাগরিকদের খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে ডিএসসিসি

চক্ষুলজ্জায় প্রকাশ্যে খাবার নিতে অনাগ্রহীদের বাসায় প্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। শনিবার (৪ এপ্রিল) বিকালে নগর ভবনের সামনে এই কার্যক্রম পরিচালনা করেন ডিএসসিসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে খাদ্যসামগ্রী নিতে অনিচ্ছুক নাগরিকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে হটলাইন চালু করে ডিএসসিসি। এতে ফোন করে যারা খাদ্যসহায়তা চেয়েছেন তাদের ঘরে চলে যাচ্ছে চাল-ডাল-লবণসহ বিভিন্ন পণ্য।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দক্ষিণ সিটির ৫০ হাজার মানুষের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। গতকাল ২০টি ওয়ার্ডে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়া আমাদের কাছ থেকে খাবার পাচ্ছে শহরের রিকশাচালকরা।’

প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা পেয়েই বাসায় বাসায় খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করেন মেয়র, ‘যারা চক্ষুলজ্জায় প্রকাশ্যে দাঁড়িয়ে বা কাউন্সিলর অফিস থেকে খাদ্যসামগ্রী নিতে অস্বস্তিবোধ করেন তাদের তালিকা করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা হটলাইন চালু করেছি। যারা ফোন করছেন আমরা তাদের বাসায় আজ থেকে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি।’

ডিএসসিসির ত্রাণ কার্যক্রমে মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনডিএসসিসির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আপাতত সীমিত পরিসরে এই সেবা দেওয়া হচ্ছে। এর কারণ শোনালেন সাঈদ খোকন, ‘আমাদের জনবল সীমিত। তাই এই সেবা ব্যাপকভাবে দেওয়া সম্ভব নয়। গতকাল পর্যন্ত ৪৫০টি কল রিসিভ করেছি। আজ আরও অনেক ফোন এসেছে। আজ দুপুর পর্যন্ত ৬১১ জনের বাসায় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। হটলাইনে আসা ফোনের তালিকা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে সবার কাছে খাবার চলে যাবে। আমাদের এই কার্যক্রম মাসব্যাপী চলবে।’

এদিকে তৈরি পোশাক কারখানা খোলা রাখায় সারাদেশ থেকে শ্রমিকরা ঢাকামুখী হচ্ছে। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে কিনা সংবাদকর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়রের উত্তর, ‘অনেকে এ নিয়ে আমাদের কাছে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। এ সিদ্ধান্ত কতটুকু ইতিবাচক হতে পারে কিংবা নেতিবাচক প্রভাব যদি পড়ে সেক্ষেত্রে জটিলতা কতটা বাড়বে, এসব নিয়ে আরেকবার ভাবতে বাণিজ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাই। তিনি যদি পুনর্বিবেচনা করেন তাহলে নাগরিকদের উদ্বেগ হয়তো কমে আসবে।’