তিনি বলেন, মাদারীপুরের পুলিশ সদস্য কিশোর কুমার দাস উচ্চমাত্রার ডায়াবেটিস ও কিডনি জনিত সমস্যায় মারা গেছেন। তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন না।
এরআগে, ৭ এপ্রিল শিবচরে ডিউটিতে থাকা অবস্থায় পুলিশ সদস্য কিশোর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে সেখানে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
এআইজি সোহেল রানা জানান, মাদারীপুর সদর হাসপাতাল থেকে পরে তাকে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল ও পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এদিকে মাদারীপুর প্রতিনিধি জানান, জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান জানিয়েছেন, কনস্টেবল কিশোরের (ব্যাচ নম্বর-৮২৬) করোনা ছিল কিনা এ বিষয়ে ঢাকায় পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ইমরানুর রহমান সনেট বলেন, মৃত পুলিশ সদস্যের সঙ্গে চিকিৎসকদের নিরাপত্তাও জড়িত। পরীক্ষায় নেগেটিভ আসার পর চিকিৎসকরা এখন নিশ্চিন্ত। কারণ ওই পুলিশ সদস্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে যারা তাকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন তারা সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়তেন।