গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে, গাদাগাদি অবস্থায় হাঁটাচলা করে, বিভিন্ন ধরনের যানবাহন নিয়ে এসে কেনাবেচায় ব্যস্ত শত শত মানুষ। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার মতো যে কোনও বিষয় আছে, তা সেখানে গেলে বোঝার উপায় নেই।
দূরত্ব বজায় রেখে কাঁচামাল নিয়ে আসা একটি ট্রাকের ছাদে ওঠার পর পুরো এলাকার চিত্র টেলি লেন্সে ধরা পড়ে।
লা ভিঞ্চি হোটেলের গলি থেকে শুরু করে কাওরানবাজার সিটি করপোরেশন মার্কেট, ইত্তেফাক পত্রিকা অফিস থেকে প্রথম আলোর অফিস পর্যন্ত এবং মাছের পাইকারি বাজারেও একই চিত্র চোখে পড়ে।
সেখানে কোনও ধরনের সচেতনতামূলক ব্যানার দেখা যায়নি। এমনকি সরকারি-বেসরকারি কোনও লোকও দেখা যায়নি, যারা ক্রেতা-বিক্রেতাদের দূরত্ব মেনে কাজ করতে সচেতন করবেন।
ট্রাকের ছাদ থেকে নামার সময় আবদুর রশিদ মিয়া নামে একজন বিক্রেতার কাছে সামাজিক দূরত্বের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রসঙ্গটি হেসে উড়িয়ে দেন। বলেন, তাদের কিছু হবে না।
তিনি বলেন, ‘পাইকাররা না আসলে এই শহরের মানুষজন কী খাবে?’
মাছের পাইকারি বাজারেও একই চিত্র। মানু মিয়া নামে এক বিক্রেতার কাছে বাজারের অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মাছ বাজারের অবস্থা খুবই খারাপ, আগের চেয়ে মাছের দাম কম। আগে যে রুই মাছ পাইকারি বিক্রি করেছি ২৮০ থেকে ৩০০ বা ৩২০ টাকা কেজি দরে, এখন তা বিক্রি করছি ২২০- ২৫০ টাকা করে কেজি।’
ঢাকার সব হোটেল রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকায় তাদের এ অবস্থা বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের কারণে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকাসহ বিভিন্ন জেলায় চলছে লকডাউন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বাস্থ্য বিভাগ মানুষকে ঘরে থাকার জন্য উৎসাহিত করছে।
বুধবার পর্যন্ত হিসাবে এই ভাইরাসে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ৫০ জন। আর আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ২৩১ জন।