প্রচার বিমুখ হয়ে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের আহ্বান মেয়র আতিকুলের

93615505_269085310796569_4273836125623156736_n

প্রচার বিমুখ হয়ে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নবনির্বাচিত মেয়র ও সামাজিক আন্দোলন ‘সবাই মিলে সবার ঢাকার’র উদ্যোক্তা মো.আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সব চেয়ে বেশি কষ্টে রয়েছে মধ্যবিত্ত পরিবার। তারা লোকলজ্জায় কারেও কাছে হাতও পাততে পারে না। এদের অনেকেই বিভিন্নভাবে আমাদের কাছে খাদ্যসামগ্রী সহায়তা চেয়েছেন। আমি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার সময় তাদের সামনে যাইনি। অনেক স্থানে আমাদের কর্মীরা বাসার সামনে রেখে এসেছেন, যাতে তারা লজ্জা না পান। লজ্জার কারণে অনেক পরিবার সামনে আসতে চান না। তাই আমি সবাইকে আহ্বান করবো, সরকারি বা ব্যক্তিগত ত্রাণসামগ্রী বিতরণকালে আমরা যাতে প্রচার বিমুখ হই।’

সোমবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে নগরীর বনানী বিদ্যানিকেতনে ত্রাণসামগ্রী কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে মেয়র এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি নিজেই গাড়ি চালিয়ে তার খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম পরিদর্শনে আসেন। পরে প্যাকেটজাতকরণ কাজে নিয়োজিত কর্মীদের কাজকর্ম  ঘুরে দেখেন।

আতিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দেশের বর্তমান অবস্থায় আমি আহ্বান করবো, যাতে বিত্তবানরা এগিয়ে আসে। আমি খেলাম আর আমার প্রতিবেশি অভুক্ত থাকলো, এটা যেন না হয়। আসুন, আমরা সবাই এগিয়ে আসি। ঘরে থাকি। জরুরি প্রয়োজনে বের হলে যেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখি। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।’

মেয়র জানান, ত্রাণ বিতরণের কাজে তাকে সাহায্য করছে সামাজিক সংগঠন ‘বিডি ক্লিন’। সংগঠনটির তিন শতাধিক কর্মী প্রতিদিন খাদ্যসামগ্রী প্যাকেট করা থেকে শুরু করে সরবরাহ কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। প্রতিটি প্যাকেটে থাকছে চাল, ডাল, আলু, তেল ও সাবান। এপর্যন্ত প্রায় ২৩ হাজার পরিবারের মাঝে মেয়র আতিকুল ইসলামের উদ্যোগে এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

সবার মাঝে খাদ্য বিতরণ করতে মেয়র আতিকুল ইসলাম তার ফেসবুক পেজে ব্যক্তিগত নম্বরসহ আরও চারটি নম্বর দিয়েছেন। এসব নম্বরেও নগরবাসী ফোন করলে তাদের ঠিকানায় খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়। প্রতিদিন বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ট্রাক ও কারে করে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘রবিবার (১৯ এপ্রিল) ৬৭ জন  আমাকে  ফোন করে খাদ্যসহায়তা চেয়েছেন। আজ  সেগুলো বিতরণের কাজ চলছে। এভাবে প্রতিদিন আমি নিজেও অনেক ফোন রিসিভ করি। এছাড়া আমরা জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের তথ্য অনুযায়ী, বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পৌঁছে দিচ্ছি।’

মেয়র বলেন, ‘এই সংকট তো এক দিনের না। আমরা জানি না কত দিন এভাবে চলতে থাকে। তাই সবাই এগিয়ে এলে আমাদের রিকশাচালক, হকার, ভ্যানচালকসহ যারা দিনমজুর তারা বাঁচতে পারবেন।’