শনিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনের সম্মেলনকক্ষে সরকার, মালিক ও শ্রমিক ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (টিসিসি) ৬৪তম সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। টিসিসির সদস্যরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সভায় অংশ নেন। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কোনও শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না। কোনও কারখানা লে-অফ করা যাবে না। অর্থনীতির গতি সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক মালিকরা কারখানা চালু করতে চাইলে অবশ্যই কঠোরভাবে স্বাস্থ্য বিধিমালা প্রতিপালন করতে হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দফতর ও সংস্থা যেমন- শিল্প পুলিশ, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, ‘কারখানা চালু রাখার ক্ষেত্রে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি আগে দেখতে হবে।’
শ্রম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রেজাউল হকের সঞ্চালনায় সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আলী আজম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায়, শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক এ কে এম মিজানুর রহমান এবং জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি কামরান টি রহমান, বিজিএমইএ’র সভাপতি রুবানা হক, বিকেএমইএ’র সিনিয়র সহ-সভাপতি হাতেম আলী, বাংলাদেশীয় চা সংসদের চেয়ারম্যান শাহ আলম, গ্রামীণ ফোন লিমিটেডের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা তানভির হোসাইন, আইএলও প্রতিনিধি মুনিরা সুলতানা, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি শিরিন আখতার, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খান, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ওয়াজেদুল ইসলাম খান এবং বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম প্রমুখ।