বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের মুখপাত্র মো. নজরুল ইসলাম রনি এবং বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মো. মেজবাহুল ইসলাম প্রিন্স বিজ্ঞপ্তিতে তাদের দাবি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চান। ছুটির মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করায় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান নেতারা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে প্রায় দশ হাজার নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় এক লাখ শিক্ষক-কর্মচারী দীর্ঘদিন বিনা বেতনে চাকরি করে আসছেন। এ নিয়ে তারা আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছিলেন। সর্বশেষ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছর যাচাই-বাছাই করে দুই হাজার ৭৩০টি প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের আলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেগুলোর সঙ্গে পরে আরও সাতটিসহ মোট দুই হাজার ৭৩৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করে। এসব প্রতিষ্ঠানের কিছু যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়েছে। বাদ পড়াগুলোর জন্য শর্ত শিথিল করে এমপিওভুক্তির দাবি জানাই। এ ছাড়া অনলাইনে সব শিক্ষক-কর্মচারীরা আবেদন করতে পারেননি। অনেক ক্ষেত্রে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের অবহেলা দেখা গেছে। এ নিয়ে নন-এমপিও শিক্ষকদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। আমরা আশা করবো, এসব শিক্ষক-কর্মচারীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় এমপিওভুক্তির ব্যবস্থা করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জেলা-উপজেলা শহর ও গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ভিন্ন শর্ত দিয়ে এবং শর্ত শিথিল করে আগামীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার দাবি জানানো হয়। যাচাই-বাছাইয়ে বাদপড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ চলতি অর্থ বছরের বরাদ্দের অনুকূলে আরও নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবি জানান শিক্ষক নেতারা। এছাড়া চলতি বাজেটের বরাদ্দ দেওয়া অর্থ ফেরত না দিয়ে সেই অর্থের বিপরীতে আরও যতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা যায় তা করারও জোর দাবি জানান তারা।
প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করে শিক্ষক নেতারা বলেন, ‘শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে দ্রুত যোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করার বিকল্প নেই।’ এছাড়া ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটে এমপিওভুক্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে জাতীয়করণের জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখার জোরালো দাবি জানান শিক্ষক নেতারা।