পর্দা কেলেঙ্কারির মামলায় জামিন মেলেনি দুই আসামির

 

সুপ্রিম কোর্টফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজে আলোচিত পর্দা কেলেঙ্কারির ঘটনায় দায়ের করা মামলার অন্যতম আসামি আবদুল্লাহ আল মামুন ও মুন্সি সাজ্জাদ হোসেনকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। আসামিদের জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৯ মে) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম  ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহীন আহমেদ।

এর আগে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর পর্দা কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুদকের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়।  ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারসহ হাসপাতালে সে সময়ে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের এ মামলায় আসামি করা হয়। 

আসামিরা হলেন— মেসার্স অনিক ট্রেডার্সের মালিক আবদুল্লাহ আল মামুন, মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজের মালিক মুন্সি ফররুখ আহমেদ, জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সি সাজ্জাদ হোসেন, ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. গণপতি বিশ্বাস শুভ, একই প্রতিষ্ঠানের কনসালটেন্ট ডা. মিনাক্ষী চাকমা এবং সাবেক প্যাথলজিস্ট ডা. এ এইচ এম নুরুল ইসলাম।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরস্পরের যোগসাজশে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজের জন্য অপ্রয়োজনীয় এবং অবৈধভাবে উচ্চ মূল্যে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ও পর্দা ক্রয়ের মাধ্যমে সরকারের ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করেছেন।

ওই মামলার দুই আসামি মেসার্স অনিক ট্রেডার্স এর মালিক আবদুল্লাহ আল মামুন ও জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সি সাজ্জাদ হোসেন নিম্ন আদালতে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু সে আবেদন নামঞ্জুর হওয়ায় তারা জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন।