ফ্লাইট চালুর বিষয়ে এশিয়া প্যাসিফিক এভিয়েশন নেতাদের বৈঠক

 

৬৬করোনা পরিস্থিতির মাঝে পুনরায় বিমান চলাচলের বিষয়ে আলোচনা করেছেন এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সিভিল এভিয়েশন খাতের শীর্ষ ব্যক্তিরা। বৃহস্পতিবার (২১ মে) সকাল আটটা থেকে দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী অনলাইনে এই সভায় করোনা পরিস্থিতিতে নেওয়া  পদক্ষেপ, মোকাবিলা পদ্ধতি পরিস্থিতির উত্তরণ নিয়ে আলোচনা হয়।

আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইকাও) অন্তর্ভুক্ত ‘কোলাবেরেটিভ অ্যারেজমেন্ট ফর প্রিভেনশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অব পাবলিক হেলথ ইভেন্ট ইন সিভিল এভিয়েশন (সিএপিএস সিএ)’ এর এশিয়া প্যাসিফিকের আঞ্চলিক অফিস ব্যাংককের  সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এই ভিডিও সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বর্তমানে বিশ্বে উদ্ভূত মহামারি করোনাভাইরাসের কবল হতে বিশ্ব কীভাবে উত্তরণ ঘটাতে পারে এবং করোনা পরবর্তী অবস্থা কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, সে বিষয়েও আলোচনা হয়।

ভিডিও কনফারেন্সে আইকাও-এর এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক অরুণ মিশ্র সূচনা বক্তব্য রাখেন। এরপর সিএপিএসসিএ-এর বর্তমান চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিএএবি) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান উদ্বোধনী বক্তব্য দেন। শুরুতে করোনায়  মৃত্যুবরণকারীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। মফিদুর রহমান অংশগ্রহণকারী ২৩টি সদস্য রাষ্ট্র, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, আইকাও এবং সিএপিএসসিএ’র সহযোগী সংস্থাগুলোর প্রতিনিধদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান।

করোনা মহামারি পরিস্থিতি হতে উত্তরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব এবং দিক নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে সাম্প্রতিক সময়ে গৃহীত সব ধরনের পদক্ষেপ বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন তিনি। একই সঙ্গে সিএপিএসসিএ এর সব সদস্য দেশকে সম্মিলিতভাবে করোনার এ দুর্যোগময় পরিস্থিতি সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য সর্বাত্মক পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানান। এছাড়ও করোনা মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আইকাও দিক নির্দেশনা মোতাবেক সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

২২

সভায় আইকাও এভিয়েশন মেডিসিন সেকশনের প্রধান এবং সিএপিএসসিএ এর গ্লোবাল প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আনসা জর্ডান আইকাও এর সদর দফতর থেকে বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি আইকাও প্রদত্ত পাবিলিক হেলথ করিডোর কনসেপ্ট নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। এভিয়েশন সেবা প্রদানকারী সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষা করে কীভাবে যাত্রীদের স্বাস্থ্যসম্মত সেবা প্রদান করা যায়, সে ব্যাপারে আলোচনা করেন।

পরবর্তীতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন  এবং এয়ারপোর্ট কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধিরা বিশ্বে এভিয়েশন কমিউনিটিকে রক্ষাকল্পে এই রোগের বিষয়ে বিভিন্ন প্রতিকারমূলক দিক নির্দেশনা প্রদান করেন, যাতে রোগ অতি সহজে ও সফলতার সঙ্গে প্রতিরোধ করা যায়। এছাড়া, সভায় চীন, জাপান, সিঙ্গাপুর এবং দক্ষিণ কোরিয়া করোনা মোকাবিলায় তাদের নিজ নিজ দেশের এভিয়েশন সেক্টরের গৃহীত পদক্ষেপ  এবং বিশেষ করে পুনরায় ফ্লাইট চালুর  বিষয়ে তাদের গৃহীত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন।

সভায় বাংলাদেশ থেকে সিএপিএসসিএ এর কো-চেয়ারপারসন এবং সিএএবি’র এভিয়েশন পাবলিক হেলথ ইন্সপেক্টর বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আব্দুর রব মিয়া,  বেবিচকের সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমডোর মো. খালিদ হোসেন, সদস্য (নিরাপত্তা) মো. শহীদুজ্জামান ফারুকী, সদস্য (ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন্স) গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী মো. জিয়াউল কবীর, পরিচালক (ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড, রেগুলেশন্স এন্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স) গ্রুপ ক্যাপ্টেন ইমরানুর রহমান, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ-উল-আহসান, বিমানবন্দরের  স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ প্রমুখ যুক্ত ছিলেন।