বৃষ্টি ঝরিয়ে বিদায় নেবে আম্পান




নিম্নচাপে পরিণত হওয়া আম্পানের প্রভাবে পঞ্চগড়ে বৃষ্টি, এটি উত্তর দিকে সরে যাচ্ছেঘূর্ণিঝড় আম্পান আরও দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি এখন রাজশাহী ও দিনাজপুরের মাঝামাঝি এলাকায় অবস্থান করছে। বৃহস্পতিবার (২১ মে) রাতের মধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চলে আরও বৃষ্টি ঝরিয়ে এর অস্তিত্ব বিলীন হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। তবে সতর্কতা হিসেবে শুক্রবার (২২ মে) সকাল পর্যন্ত সমুদ্রবন্দরগুলোতে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, আগামীকাল সূর্যের দেখা মিলবে।

আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এখন আম্পান নিম্নচাপ আকারে রাজশাহী ও দিনাজপুরে অঞ্চলে অবস্থান করছে। নিম্নচাপটি এই অঞ্চলের আকাশেই বৃষ্টি ঝরিয়ে বিলীন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বৃষ্টি ঝরতে ঝরতে এটি নিম্নচাপ থেকে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হবে, এরপর এটি আরও দুর্বল হয়ে যাবে।

তিনি জানান, মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে সকালে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে। এই সংকেত সতর্কতা হিসেবে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত থাকবে। শুক্রবার সকালে এই সংকেত নামিয়ে ফেলা হবে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, দেশের উত্তরাঞ্চলে এখন বৃষ্টি হচ্ছে। মধ্যরাত পর্যন্ত একই ধরনের বৃষ্টি হবে। এরপর কমে আসবে। এছাড়া দেশের অন্য অঞ্চলগুলোতে বিচ্ছিন্নভাবে হালকা বৃষ্টি হবে। বড় ধরনের কোনও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। কারণ, আম্পান নিম্নচাপ হলেই দেশের আকাশে এখনও মেঘমালা রয়ে গেছে। এর প্রভাবে বৃষ্টি হবে রাতে। তবে সকালে আকাশে সূর্যের দেখা পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তবে আজ রাত পর্যন্ত দেশের চার সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায়, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

বিকাল পর্যন্ত সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ২০৩ মিলিমিটার। এছাড়া ঢাকা বিভাগের মধ্যে টাঙ্গাইলে ১৩০, ময়মনসিংহে ১০৫, চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে মাইজদীকোটে ৯১, রাজশাহী বিভাগের মধ্যে ঈশ্বরদীতে ১৬০, তাড়াশে ১৫৫, বগুড়ায় ১০৩, যশোরে ১১৮ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে।