ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনা করে এ সংগঠনের জন্ম এবং সেখানে বলা হয়, কোভিড-১৯ সংক্রমণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে চিকিৎসা তথা স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সরকারের স্বাস্থ্য নীতি ও পরিকল্পনায় জনস্বাস্থ্যকে উপেক্ষা করা, অব্যবস্থাপনা, অবহেলা, দুর্বৃত্তায়ন ও বেসরকারি করণজনিতসহ নানা সংকট ফুটে উঠেছে।
কনফারেন্সে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সাত শতাধিক চিকিৎসকসহ কয়েকশ’ চিকিৎসা কর্মীদের কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে আলোচনায় সাধারণ জনগণের ন্যূনতম চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
আলোচনায় বলা হয় স্বাস্থ্য জনগণের অধিকার। অথচ তা এখনও সংবিধানে মৌলিক অধিকার হিসাবে আইন দ্বারা গ্যারান্টেড নয়। এই অধিকার প্রতিষ্ঠায় চিকিৎসকদের নেতৃত্বে চিকিৎসা কর্মী ও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সার্বিক জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা দীর্ঘদিন ধরে অনুভূত হচ্ছিলো।
বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুবকে আহবায়ক, অধ্যাপক ডা. মো. আবু সাঈদ ও ডা. ফয়জুল হাকিম লালাকে যুগ্ম-আহবায়ক এবং অধ্যাপক ডা. শাকিল আখতারকে সদস্য সচিব করে ১৫ সদস্যের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন অধ্যাপক ডা. এস এম ফজলুর রহমান, অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশীদ, অধ্যাপক ডা. কাজী রকিবুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ডা. এম এইচ ফারুকী, ডা. গোলাম রাব্বানী, ডা. সুশান্ত বড়ুয়া, ডা. মজিবুল হক আরজু, ডা. কে এম এইচ তৌহিদ, ডা. মণীষা চক্রবর্তী, ডা. প্রনবেন্দু দেব ও ডা. জয়দীপ ভট্টাচার্য প্রমুখ।