বৃহস্পতিবার (২৮ মে) বেলা আড়াইটায় কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনের আয়োজন করা হয়। সেখানে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, মৃত্যু বিশ্লেষণে দেখা যায় মারা যাওয়া ১৫ জনের মধ্যে পুরুষ ১১ জন, নারী চার জন। এলাকাভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, এদের সাত জন ঢাকা এবং আট জন চট্টগ্রাম বিভাগের। ঢাকা বিভাগের সাত জনের মধ্যে ঢাকা সিটিতে ছয় জন ও নারায়ণগঞ্জে একজন রয়েছেন এবং চট্টগ্রাম বিভাগের আট জনের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটিতে দুই জন, চট্টগ্রাম জেলায় দুই জন, কক্সবাজারে দুই জন এবং কুমিল্লায় দুই জন রয়েছেন।
মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে দুই জন এবং ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯টি ল্যাবে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৯ হাজার ২৬৭টি। তবে আগের দিনের নমুনাসহ পরীক্ষা হয়েছে ৯ হাজার ৩১০টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা হলো দুই লাখ ৭৫ হাজার ৭৮৬টি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৭৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। আর শনাক্তের তুলনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৩৯ শতাংশ।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ২৪৮ জনকে এবং ছাড়া পেয়েছেন ১৩৮ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন চার হাজার ৯৮৪ জন। মোট আইসোলেশন শয্যা ১৩ হাজার ২৮৪টি। আর ঢাকা মহানগরীতে সাত হাজার ২৫০টি এবং ঢাকা সিটির বাইরে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ছয় হাজার ৩৪টি শয্যা প্রস্তুত করা হচ্ছে। এসব হাসপাতালে আইসিইউর সংখ্যা ৩৯৯টি এবং ডায়ালাইসিস ইউনিট ১০৬টি।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছে চার হাজার একজন এবং ছাড়া পেয়েছেন দুই হাজার ৪০৪ জন। দুই লাখ ৭৫ হাজার ১০৫ জনকে এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছে এবং কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়া পেয়েছেন দুই লাখ ১৬ হাজার ৮১২ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৮ হাজার ২৯৩ জন।