ডা. জাফরুল্লাহর শারীরিক অবস্থার উন্নতি

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসপরিবারে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। আর তার স্ত্রী শিরীন হক ও ছেলে বারিশ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থাও স্থিতিশীল রয়েছে। ফলে তারা হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে বাসা থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সোমবার (১ জুন) রাতে ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমার শরীরের অবস্থা উন্নতির দিকে। এখনও হাসপাতালে আছি। তেমন কোনও সমস্যা নেই। তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে এবং স্ত্রী বাসায় আছেন। তাদের অবস্থা স্থিতিশীল। এখন পর্যন্ত বড় কোনও সমস্যা নেই।
গত ২৫ মে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। প্রথমে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিট দিয়ে পরীক্ষায় তার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পিসিআর পরীক্ষাতেও তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। বর্তমানে তিনি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আর গতকাল (৩১ মে) তার স্ত্রী ও ছেলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হন।

এদিকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষকদের উদ্ভাবিত ‘জিআর র‌্যাপিড ডট ব্লট' কিটের কার্যকারিতার এখনও পরীক্ষা চলছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ)। গত ১৩ মে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ২শ’ কিট জমা হয়। এরপর দুই দফায় আরও ৮শ’ কিট বিএসএমএমইউ হাসপাতালে জমা দেয় গণস্বাস্থ্য। কিট জমা দেওয়ার ১৮ দিন পেরিয়ে গেলে এখন পর্যন্ত পরীক্ষা শেষ করতে পারেনি বিএসএমএমইউ। এই নিয়ে অনেকটা হতাশ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
এ বিষয় ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, বিএসএমএমইউ অর্ধেকের বেশি টেস্ট করে ফেলেছে। তারা আমদের কাছ থেকে ১ হাজার কিট নিয়েছে। অস্থায়ীভাবে হলেও এই কিটের অনুমোদন দিয়ে দেওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, সারা পৃথিবীতে এ ধরনের কিট পাস হয়েছে। আমাদের এটা পাস হবে না? হবে। ইতোমধ্যে আমাদের কয়েক কোটি টাকা গেছে এই কিটের পেছনে। এর বেশি এখন কী বলবো বা কী করার আছে আমাদের। সরকারের উচিত অস্থায়ীভাবে হলেও এখন কিটের অনুমোদন দিয়ে দেওয়া। আর এই কিট যে সফল তা তো ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়ে গেছে।