মাস্ক-পিপিই কেনাকাটায় অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ চলছে: দুদক চেয়ারম্যান

দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদএন-৯৫ মাস্ক ও পিপিই (ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম) কেনাকাটায় দুর্নীতির বিষয়ে গণমাধ্যমে বিভিন্ন অভিযোগ উঠে এসেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ জানিয়েছেন, এসব বিষয়ে বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ চলছে। শুক্রবার (৫ জুন) নিজের বাসভবনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

দুদক চেয়ারম্যানের ভাষ্য, ‘কমিশনের হটলাইন ১০৬-এ স্বাস্থ্য খাতের বেশ কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুদকের গোয়েন্দা ইউনিট এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে। সার্বিকভাবে স্বাস্থ্য খাতের কেনাকাটার বিষয়গুলোতে কমিশন নজর রাখছে। বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এরপরই পূর্ণাঙ্গ কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবে।’

গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবেদন সংরক্ষণ করছে দুদক। এ তথ্য জানিয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা জেনেছি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে এ বিষয়ে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় তদন্ত করেছে। আমরা হয়তো তাদের প্রতিবেদনটি সংগ্রহ করবো।’
এসব অভিযোগ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করেন ইকবাল মাহমুদ। দুদক চেয়ারম্যানের আশ্বাস, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় তৃণমূল পর্যায় (উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স) থেকে শুরু করে রাজধানীর বড় বড় হাসপাতালের বিষয়ে যেসব অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে। অভিযোগের গ্রহণযোগ্যতা থাকলে আইনি ব্যবস্থা নিতে চান তিনি।

মাস্ক ও পিপিই কেনাকাটায় সংশ্লিষ্টদের দুদক তলব করবে কিনা এমন প্রশ্নে কমিশনের চেয়ারম্যানের উত্তর, ‘অনুসন্ধানকালে সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধান কর্মকর্তা স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করেন। অপরাধীদের গ্রেফতার, তলব কিংবা বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার মতো সব বিষয়ে অনুসন্ধান কর্মকর্তাই সিদ্ধান্ত নেবেন।’

স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিরোধে কমিশন কর্তৃক গঠিত প্রাতিষ্ঠানিক টিম কাজ করেছে। এ তথ্য উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা এটা দৃঢ়ভাবে বলতে পারি, যন্ত্রপাতি ক্রয়সহ স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে কমিশন নির্মোহভাবে আইনি দায়িত্ব পালন করবে। গত বছর কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক টিমের একটি প্রতিবেদন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। এ প্রতিবেদনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা হলে স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি-অনিয়ম প্রতিরোধ করা সহজ হবে।’

ক্যাসিনোকাণ্ড তদন্তে সময় বেশি লাগলেও নমনীয় হওয়ার সুযোগ নেই

এদিকে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিভিন্ন দুর্নীতির অনুসন্ধান ও তদন্তে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি দিন লাগছে। তবে ইকবাল মাহমুদের মন্তব্য, ‘অপরাধীদের প্রতি নমনীয় হওয়ার কোনও সুযোগ নেই।’

দুদক চেয়ারম্যানের মুখে শোনা গেলো, ‘ক্যাসিনোকাণ্ডের যেসব অভিযোগ কমিশন আমলে নিয়েছে সেগুলোর অনুসন্ধান বা তদন্তে শিথিলতার কোনও সুযোগ নেই। প্রতিটি অনুসন্ধান ও তদন্ত চলমান রয়েছে। সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধান ও তদন্ত কর্মকর্তারা বাসায় বসেই নিরলসভাবে কাজ করছেন।’