২০১৫ সালে জাতীয় বেতন স্কেল হওয়ার আগে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের একটি মাত্র টাইম স্কেল ছিল আট বছরের মাথায়। নতুন জাতীয় স্কেলে বলা হয় চাকরির আট বছরে একটি এবং চাকরির ১০ বছরে আরও একটি উচ্চতর গ্রেড পাবেন বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা। কিন্তু দীর্ঘদিন পরও জাতীয় বেতন স্কেলের এই শর্তটি পূরণ করা হয়নি।
এই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের উচ্চতর গ্রেড দেওয়ার সম্মতি চায় অর্থ বিভাগের কাছে। চিঠি চালাচালির এক পর্যায়ে গত ৩১ মে অর্থ বিভাগ বিষয়টি স্পষ্ট করে চাকরির আট বছরে উচ্চতর স্কেল প্রদানে সম্মতি দেয়।
অন্যদিকে, চাকরি ১৬ বছর পূর্তিতে শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেল পাওয়া বিষয়টি নিয়ে ২০১৬ সালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা আদেশের ওপর উচ্চ আদালতে মামলা রয়েছে। এই মামলা চলমান থাকায় এ বিষয়ে অর্থ বিভাগের এখন কিছু করণীয় নেই বলে উল্লেখ করা হয়।
গত ৩১ মে অর্থ বিভাগের চিঠিতে বলা হয়, চাকরির ১০ বছর পূর্তিতে শিক্ষকরা ২০১৫ সালের জাতীয় পে-স্কেল অনুযায়ী উচ্চতর স্কেল পাবেন। তবে, চাকরি ১৬ বছর পূর্তিতে শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেল পাওয়ার বিষয়ে ২০১৬ সালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা আদেশের ওপর উচ্চ আদালতে মামলা রয়েছে। মামলা চলমান থাকায় এ বিষয়ে তাদের কিছু করণীয় নেই।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের মুখপাত্র মো. নজরুল ইসলাম রনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় বেতন স্কেল বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসছি। অনেক শিক্ষক-কর্মচারীর আগের নিয়মে টাইম স্কেল পাওয়ার সময় হলেও তারা টাইম স্কেল পাননি জাতীয় বেতন স্কেল ঘোষণার কারণে। জাতীয় বেতন স্কেল ৫ বছর আগে হয়েছে। অথচ দীর্ঘদিন থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা উচ্চতর গ্রেড বঞ্চিত হচ্ছেন। সে কারণে করোনার ছুটির সময় আমরা অনলাইনে শিক্ষামন্ত্রী এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে বিষয়টি নিষ্পত্তির অনুরোধ জানাই।