সচিব বলেন, ‘পর্যটকদের মনে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে আস্থা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। হোটেল-মোটেল ও পর্যটন গন্তব্যে এই নির্দেশিকা ও স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণে থাকবে।’
সম্মেলনে পর্যটন বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দেন আলোচকরা। তাদের ধারণা, কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে পর্যটকদের আচরণে পরিবর্তন আসবে। দেশীয় পর্যটনের বাজারকে কাজে লাগিয়ে এই খাতের উন্নয়ন ধরে রাখতে পর্যটকদের পরিবর্তিত আচরণের সঙ্গে উদ্যোক্তাদের মানিয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
আলোচকদের মন্তব্য, পর্যটনে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়বে। ফল পর্যটনের উন্নয়নে এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তাদের কয়েকটি পরামর্শ-
* নতুন পর্যটন গন্তব্য খুঁজে বের করা
* পর্যটন পণ্যের বৈচিত্র্যতা তৈরি করা।
* গ্রামীণ ও প্রান্তিক পর্যটন গন্তব্যের ওপর গুরুত্ব দেওয়া
* একই পর্যটন গন্তব্যে যেন বেশি পর্যটকের ভিড় না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা।
এছাড়া ‘ট্যুরিস্ট কেয়ারিং ক্যাপাবিলিটি’ নিশ্চিত করতে ও পরিবেশ সংরক্ষণে পর্যটনের সঙ্গে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন আলোচকরা। তাদের পরামর্শ, স্থানীয় জনগণকে প্রশিক্ষিত করে দক্ষ জনবলে রূপান্তর করতে হবে।
জুম কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ। এতে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নওয়াজীশ আলী খান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোকাব্বির হোসেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক রাশিদুল হাসান, ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান এম.ডি সবুর খান, পাটা বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতি সাহিদ হামিদ ও ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ট্রিয়াব) সভাপতি খবির উদ্দিন আহমেদ।