বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় আইন ও সালিশ কেন্দ্রের উদ্বেগ

আইন ও সালিশ কেন্দ্রসীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। সোমবার (১৫ জুন) নওগাঁর পোরশা নীতপুর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (১৬ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আইন সালিশ কেন্দ্র জানায়, ১৫ জুন নওগাঁ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশির নিহত হওয়ার ঘটনায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের কাছে এ ধরনের অমানবিক ও নৃশংস হত্যাকাণ্ড বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আহবান জানাচ্ছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্র জানায়, ১৫ জুন নওগাঁর পোরশা নীতপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে সুভাস রায় (৩৭) নামে এক রাখালের মৃত্যু হয়। ভোরে সীমান্তের ২২৭ নম্বর পিলারের কাছে ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।

আসকের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ১৭ জন নিহত ও ১২ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটলো। ২০১৯ সালে ৩৭ জন গুলিতে ও ৬ জন নির্যাতনে মারা গেছে। বছরের পর বছরে ধরে এমন হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটে চলেছে। ভারত সরকারের কাছ থেকে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড বন্ধে বিভিন্ন সময় নানা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা বাস্তব প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। যা অত্যন্ত হতাশাজনক। বন্ধু ও প্রতিবেশী দেশ থেকে এমন আচরণ অগ্রহণযোগ্য। এ ধরনের নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড প্রকৃতপক্ষে দুই দেশের জনগণের মধ্যে বৈরিতা আর অবিশ্বাস তৈরি করছে।

আসক মনে করে এমন নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন। আসক আশা করে, বাংলাদেশ সরকার এসব বন্ধে অনতিবিলম্বে ভারত সরকারের সঙ্গে জোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাবে।