বেসরকারি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বেতন-বোনাসের নিশ্চয়তা চেয়ে রিট

চিকিৎসাবেসরকারি চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন-বোনাসের নিশ্চয়তা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। একইসঙ্গে অনুমোদনের শর্ত ভঙ্গ করে তাদের বেতন না দিলে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোর লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জুন) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মিরপুরের বাসিন্দা ডা. এএসএম এ নূরের পক্ষে আইনজীবী ইয়াদিয়া জামান ও জামিউল হক ফয়সাল এটি দায়ের করেন।
রিট আবেদনে বলা হয়- বেশকিছু গণমাধ্যমের সংবাদ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলমান পরিস্থিতিতে দেশের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বোনাস পাচ্ছেন না। এছাড়া চিকিৎসকদের বেতন অর্ধেক করে দেওয়া হয়েছে। আবার কোনও কোনও হাসপাতাল বেতন প্রদান না করে বরং জোরপূর্বক ছুটি দিচ্ছে।
উদাহরণ হিসেবে রিটে দুই আইনজীবী উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সারা পৃথিবীতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি ভরসা ও বিশ্বাসের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সবাই। এমনকি ঘানার মতো দেশ চিকিৎসকদের বেতন ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। অথচ আমাদের দেশে চিকিৎসকদের প্রতি বিরূপ আচরণ দেখাচ্ছে হাসপাতালগুলো। তাদের বেতন কেটে নেওয়া হচ্ছে, এমনি বাড়ি থেকেও উচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে। একদিকে চিকিৎসকদের শারীরিক, মানসিক ও অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দেওয়া হচ্ছে; অন্যদিকে তাদের কাছ থেকে সেবা আশা করা হচ্ছে।

রিটকারীরা জানান, ২০১১ সালের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ সংক্রান্ত জারিকৃত পলিসিতে কর্মরত চিকিৎসকদের চাকরির বেতনের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন গত ২ মে এক পত্র মারফত ঘোষণা করে- তাদের আর্থিক অবস্থা নাজুক, তারা চিকিৎসকসহ কোনও কমর্কতা-কর্মচারীদের বোনাস দেবেন না, চিকিৎসকদের বেতন ৪০ শতাংশ কেটে নেওয়া হবে। কেবল যেসব চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী ২৪ ঘণ্টা কাজ করবেন তাদের সম্পূর্ণ বেতন দেওয়া হবে। পরবর্তী সময়ে চিকিৎসকরা জোরালো প্রতিবাদ করলে ৪ মে মানবিক কারণ দেখিয়ে জারিকৃত পূর্বের আদেশটি প্রত্যাহার করা হয়।

রিট আবেদনে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫, ৩১ ও ৩১ অনুচ্ছেদে মানুষের জীবন-জীবিকার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। তাই করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অর্থনৈতিক, মানসিক ও শারীরিকভাবে সবল রাখা খুবই জরুরি। কারণ তারাই আমাদের সামনের সারির যোদ্ধা।’

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।