বাসাবাড়ি-বাণিজ্যিক ভবনে মশার লার্ভা নিধনে ফি লাগবে

ডিএসসিসি

নিজ বাসাবাড়ি বা বাণিজ্যিক ভবন বা অন্যান্য স্থাপনায় মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে হলে সিটি করপোরেশনের কাছে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এ জন্য ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। বুধবার (১ জুলাই) ‘মশার প্রজননস্থলে কিটনাশক ছিটানো ও সেবা প্রদান শীর্ষক’ কার্যক্রম অনলাইনের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

ডিএসসিসি সূত্র জানিয়েছে, নিজ বাড়ি বা বাণিজ্যিক ভবনে জমে থাকা মশার লার্ভা ধ্বংস করতে হলে সেবাগ্রহীতাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়েব পোর্টালে প্রবেশ করে আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে।

আবেদন ফরম যথাযথভাবে পূরণ ও অনলাইন পেমেন্ট  গেটওয়ে থেকে পছন্দনীয় পেমেন্ট চ্যানেল সিলেক্ট করে নির্ধারিত সেবার মূল্য পরিশোধ করা যাবে। সফলভাবে আবেদনপত্র ও সেবামূল্য গৃহীত হলে সেবাগ্রহীতা একটি এসএমএস  পাবেন। ওই এসএমএসে আবেদনের ট্র্যাকিং নম্বরসহ পরবর্তী তিন কার্যদিবসের মধ্যে ডিএসসিসি থেকে সেবাটি প্রদান করা হবে।

স্থাপনার ক্যাটাগরি ও সেবার হার

‘মশার প্রজননস্থলে কিটনাশক ছিটানো ও সেবা প্রদান শীর্ষক’ কার্যক্রম উদ্বোধন করতে গিয়ে মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস জানান,  মশার লার্ভা নিধনে তিন কাঠা পর্যন্ত এক ইউনিটের বাড়ি (৫ তলা পর্যন্ত) বা ভবনের জন্য ফি দুই হাজার টাকা। তিন থেকে পাঁচ কাঠা পর্যন্ত ফ্ল্যাট বাড়ির প্রতি ফ্লোরের জন্য দুই হাজার ৫০০ টাকা। পাঁচ থেকে ১০ কাঠা পর্যন্ত অ্যাপার্টমেন্ট (১০ তলা পর্যন্ত) প্রতি ফ্লোরের ফি তিন হাজার ৫০০ টাকা। অ্যাপার্টমেন্ট ১০ তলার ওপরে বেজমেন্টসহ প্রতি ফ্লোরের ফি ৫ হাজার টাকা এবং বাণিজ্যিক ভবনের প্রতি ফ্লোরের ফি জন্য ৮ হাজার টাকা।

তিনি বলেন, ‘এটা জরিমানার যে মূল্য হয়, তার থেকে অনেক কম। আমরা চাই, ঢাকাবাসী নিজে সচেতন হয়ে তিনি যদি আমাদের জানান যে, তার আঙিনায় ডেঙ্গুর বিস্তার আছে, তাহলে তিনি আবেদন করার তিন দিনের মধ্যে আমাদের কর্মীরা মশার লার্ভা নিধন করবেন। যাতে করে সেখানে আর কোনও লার্ভা না থাকে। এ কার্যক্রমটা খুব সফল হবে। কারণ, আমাদের পক্ষে জানা সম্ভবন না কোন আনাচে-কানাচে মশার লার্ভা রয়েছে।’

ডিএসসিসি’র মেয়র বলেন, ‘একটি নির্দিষ্ট দল মশক নিধন কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমরা এই পুরো কাজটাকে ঢেলে সাজিয়েছি। মশক নিধন কর্মীদের কাজ ভাগ করে দিয়েছি। আমরা এরই মাঝে জলাশয়গুলোকে চিহ্নিত করে পরিষ্কার করছি। আমাদের এই সমন্বিত কার্যক্রমের সুফল  ঢাকাবাসী পেতে শুরু করেছেন।’

মেয়র বলেন, ‘বিভিন্ন আঙিনায় যেখানে আমাদের যাওয়ার সুযোগ কম, সেসব জায়গায় যদি বিভিন্ন কারণে মশকের লার্ভা জমে থাকে, সেগুলোকে আমরা ধ্বংস করতে পারি না। যেহেতু জায়গাটি তার নিজস্ব আঙিনা এবং তার অবহেলার কারণেই হয়েছে— সেজন্যই আমরা এ ব্যবস্থা নিয়েছি। এর জন্য আমরা মোবাইল কোর্টও পরিচালনা করে থাকি। তাতে যে জরিমানা করা হয়, তার চয়ে এই মূল্য অনেক অনেক কম। আমরা সেই পর্যায়ে যাওয়ার আগে এই অভিনব কায়দাটি গ্রহণ করেছি।’

তিনি বলেন, ‘এর পরেও আমরা যদি দেখি, অনেক বাসাবাড়িতে মশার লার্ভা রয়েছে,তাহলে সেখানে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে বাধ্য হবো।’