শনিবার (৪ জুলাই) সংগঠনটি আয়োজিত ‘করোনাভাইরাস সহনশীল গ্রাম: তৃণমূলের স্বোচ্ছাব্রতীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা’ শীর্ষক এক অনলাইন সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বহু বছরের প্রচেষ্টায় কেরেলায় ত্রি-স্তর বিশিষ্ট একটি কার্যকর স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা গড়ে তোলো হয়েছে, যার সুফলই পাওয়া গিয়েছে বর্তমান করোনাভাইরাস মহামারিকালে। কেরেলার সাফল্যের পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে ১৯৯৬ সালে শুরু হওয়া ‘পিপলস প্ল্যানিং’ ক্যাম্পেইন বা স্থানীয় পর্যায়ে গণপরিকল্পনা প্রণয়নের একটি সর্বব্যাপী আন্দোলন। সেখানে করোনাভাইরাস মহামারির শুরুতেই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যেক ওয়ার্ডে নির্বাচিত সদস্যের নেতৃত্বে ‘রেপিড রেস্পন্ডার’ বা দ্রুত সহায়তাকারী টিম গঠন করা হয়। সব স্বাস্থ্যকর্মী, পঞ্চায়েত কর্মী ও স্বাস্থ্যখাতের সব স্বেচ্ছাসেবীরা এই টিমের অংশ। বর্তমান দুর্যোগের সময়ে রেপিড রেস্পন্ডার টিমের সদস্যরা মোটা দাগে তিনটি কাজ করেছে: কমিউনিকেশন, কোঅর্ডিনেশন ও কমিউনিটির সম্পৃক্তকরণ। কমিউনিকেশনের অংশ হিসেবে তারা সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবধি বিষয়ে সচেতন করেছে।
বদিউল আলম মজুমদার আরও বলেন, যশোর অঞ্চলের স্বেচ্ছাসেবীরা শুরুতে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে করোনা নিয়ন্ত্রণ ও প্রশমন কমিটি গঠন করেন। দ্বিতীয় ধাপে, স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচতেন করেন। তৃতীয় ধাপে, কোভডি-১৯ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আইসোলশেন সহযোগিতা, টেলিমেডিসিন, রোগীর প্রতি ঘৃণা বিদ্বেষ প্রতিরোধ ইত্যাদি পরিচালিত হয়। চর্তুথ ধাপে, অভাব ও সমস্যাগ্রস্তদের সহায়তা করা হয়। যশোর জেলায় পাঁচটি উপজেলার ১৯৯টি গ্রামে এসব কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ড. মুশতাক হোসেন, হু-এর আঞ্চলিক পরিচালক ডা. মোজাহেরুল হক, অধ্যাপক রুবায়াত ফেরদৌস, এম্পাওয়ার-এর প্রধান নির্বাহী মৃদুল চৌধুরী ও জাগরীরির অন্যতম উদ্যোক্তা মহারুখ মহিউদ্দিন প্রমুখ।