অবৈধ শাখা ক্যাম্পাস রাখার অভিযোগে সাউথ পয়েন্টকে শিক্ষা বোর্ডের নোটিশ

সাউথপয়েন্ট স্কুলরাজধানীর খিলগাঁও চৌধুরীপাড়ায় অবস্থিত সাউথ পয়েন্ট কলেজের বিরুদ্ধে অনুমোদন ছাড়াই বিভিন্ন স্থানে শাখা ক্যাম্পাস চালু রাখার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সাত কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা চেয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ– ঢাকার গুলশান, উত্তরা, মিরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে শিক্ষা বোর্ডের অনুমতিবিহীন একাধিক শাখা ক্যাম্পাস চালু করেছে সাউথ পয়েন্ট।

মঙ্গলবার (৭ জুলাই) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে বলা হয়, ‘বোর্ডের ডাটাবেজে কো-এডুকেশন (সহশিক্ষা)  কার্যক্রমের জন্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সাউথ পয়েন্ট কলেজ। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি বিনা অনুমতিতে বিভিন্ন স্থানে জেন্ডার (বালক/বালিকা) উল্লেখ করে কার্যক্রম চালু রাখায় শিক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়ছে।’


চিঠিতে আরও জানানো হয়, ‘সাউথ পয়েন্টে কলেজের স্বীকৃতির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয় ২০১৮ সালের ৩০ জুন। আগের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৬ সালের ১ জুলাই। তবে বিশেষ শর্তে ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটিকে সংস্থা পরিচালিত কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।’

শিক্ষা বোর্ড নথি পর্যালোচনা করে দেখেছে, সাউথ পয়েন্ট আবেদন করায় ইতোমধ্যে দু’বার প্রতিষ্ঠানটিকে স্থান পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ২০০৭ সালের ৪ জুলাই প্রথমবার তিন শর্তে ঠিকানা পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া হয়। এগুলো হলো– শিক্ষা বোর্ডের অনুমতি ছাড়া ঠিকানা পরিবর্তন করা যাবে না, দুই বছরের মধ্যে নিজস্ব জমি ও ভবনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং কলেজ ভবনের কোনও অংশ অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করা যাবে না। তখন ঢাকার গুলশান-১-এর ২২ নম্বর সড়ক থেকে তিন নম্বর সড়কে স্থানান্তরের অনুমোদন পায় সাউথ পয়েন্ট কলেজ।

২০১১ সালের ১৮ আগস্ট সাউথ পয়েন্টকে দ্বিতীয়বারের মতো স্থান পরিবর্তনের অনুমোদন দেওয়া হয়। এবার গুলশান-১-এর তিন নম্বর সড়ক থেকে মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার বি ব্লকের ‘এ’ প্লটে স্থানান্তর করা হয় প্রতিষ্ঠানটি। এক্ষেত্রে শর্তে বলা হয়েছিল, বোর্ডের অনুমতি ছাড়া ঠিকানা বা ভবন পরিবর্তন করা যাবে না এবং দুই বছরের মধ্যে নিজস্ব জমি ও ভবনের ব্যবস্থা করতে হবে।

দু’বার ঠিকানা পরিবর্তনের বিষয়টি উল্লেখ করে শিক্ষা বোর্ডের চিঠিতে বলা হয়, সাউথ পয়েন্ট কলেজের বর্তমান অবস্থান খিলগাঁও চৌধুরীপাড়ায় হলেও শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ– গুলশান, উত্তরা, মিরপুরসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে অনুমোদনবিহীন একাধিক শাখা ক্যাম্পাস চালু রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি।

ব্যাখা চেয়ে বোর্ড আরও বলেছে, বিধি বহির্ভূতভাবে শাখা ক্যম্পাস চালু রাখার কারণ জানতে চেয়ে ২০১৯ সালে ১৫ অক্টোবর চিঠি ইস্যু করা হয় এবং সাত কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। কিন্তু যুক্তিসঙ্গত কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। এ কারণে অনুমতিবিহীন শাখা ক্যম্পাস চালু রাখার বিষয়ে আবারও সাত কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা পাঠাতে বলেছে শিক্ষা বোর্ড।