হাওরে ঝড়ের মধ্যে নৌকা বিকল, ৯৯৯ এ কলের পর উদ্ধার

জরুরি সেবা ৯৯৯জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চান কিশোরগঞ্জের হাওরে আটকে পড়া ১০ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। ফোনের ভিত্তিতে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। শনিবার (১১ জুলাই) বিকালে জাতীয় জরুরি সেবার পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য জানান।

তিনি জানান, ‘১০ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বাংলাদেশ পুলিশ পরিচালিত জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ একজন ফোন করে জানান, তিনি সহ ১০ জন কিশোরগঞ্জের একটি হাওরে ট্রলার বিকল হয়ে আটকে পড়েছেন।  দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় তাদের ট্রলারটি দিক্বিদিক ভাসছিল।  তিনি তাদের উদ্ধারের জন্য অনুরোধ জানান। তাদের বয়স ২০ থেকে ২২ বছর।’

আটকা পড়া শিক্ষার্থীরা বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজিতে পড়েন। পাঁচটি মোটরসাইকেলে করে সাভার থেকে কিশোরগঞ্জ যান তারা।  মিঠামইন থানাধীন বালিখোলা ঘাট থেকে একটি ট্রলার ভাড়া করে তাতে বাইকসহ উঠে পড়েন। আশেপাশের বিভিন্ন হাওরে ঘুরে বেড়িয়ে বালিখোলা ঘাটে ফেরার পথে ঘাট থেকে ৭/৮ কিমি দূরে করিমগঞ্জ থানাধীন নাওগাং হাওরে তাদের ট্রলারের প্রপেলারের পাখা ভেঙে যায়। তখন আবহাওয়া ছিল দুর্যোগপূর্ণ, ঝড়ো হাওয়া বইছিল।কিশোরগঞ্জের হাওর (ফাইল ছবি)

ঢেউয়ের তোড়ে তাদের বিকল ট্রলারটি হাওরে দিক্বিদিক ভাসছিল। ট্রলারের মাঝি তার পরিচিত জনদের কাছে ফোনে সাহায্য চান। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় কেউ সাহায্য করার জন্য আসতে রাজি হয়নি। দূরবর্তী কিছু মাছ ধরার নৌকার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। তবে কেউ এগিয়ে আসেনি। তখন তুষার নামে এক শিক্ষার্থী ৯৯৯ এ ফোন করে তাদের উদ্ধারের অনুরোধ জানান।

৯৯৯ তাৎক্ষণিকভাবে তার সঙ্গে কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশের এএসপি হেডকোয়ার্টার, ওসি মিঠামইন থানা ও চামটাঘাট নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেওয়া হয়। ওই সময় চামটাঘাট ফাঁড়ির একটি নৌ টহল দল ঘটনাস্থলের কাছাকাছি ছিল। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় শিক্ষার্থীদের অবস্থান চিহ্নিত করতে পুলিশের দলটিকে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল।

টহল দলটির এসআই নাজমুল ইসলাম ৯৯৯ কে ফোনে জানান, আবহাওয়া খারাপ থাকায় তারা নিজেরাও ঝুঁকির মধ্যে আছেন। ঘণ্টাখানেক খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে শিক্ষার্থীদের অবস্থান চিহ্নিত করা সম্ভব হয় এবং তাদের উদ্ধার করে ঘাটে পৌঁছে দেওয়া হয়।