‘নির্মিত হবে হেলিপোর্ট, নির্ধারণ হয়েছে জায়গা’

মো. মহিবুল হক

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক বলেছেন, দেশের প্রথম হেলিপোর্ট তৈরির জন্য  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসারে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় কাজ করছে। হেলিপোর্টের জন্য উপযুক্ত স্থান নির্ধারণও করা হয়েছে। 

বুধবার (১৫ জুলাই) পর্যটন বিষয়ক  একটি জুম কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।

মো. মহিবুল হক বলেন, ‘হেলিপোর্ট তৈরির আনুষঙ্গিক কাজ সম্পাদনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে, যা দ্রুততম সময়ে একটি প্রতিবেদন পেশ করবে। গঠিত কমিটি প্রতিবেদন পেশ করার পর হেলিপোর্ট তৈরির নানা বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা প্রদান করা হবে।’

সিনিয়র এই সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের পর্যটনের উন্নয়নের জন্য একটি নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে। এই নীতিমালায় পর্যটনের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করা হবে, যাতে তারা তাদের অংশের কাজটুকু সঠিকভাবে সম্পাদনের মাধ্যমে বাংলাদেশের পর্যটনের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারেন। পর্যটন উন্নয়নের জন্য দরকার সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত উদ্যোগ। সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া পর্যটনের কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি সাধন সম্ভব নয়।’

এ সময় তিনি বাংলাদেশের পর্যটন গন্তব্যগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করায় টুরিস্ট পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘টুরিস্ট পুলিশ ইউনিট গঠন করা বাংলাদেশের পর্যটনের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বহুমাত্রিক নেতৃত্ব ও দূরদৃষ্টির ফসল।’

মহিবুল হক বলেন,‘পর্যটনের উন্নয়ন ও পর্যটকদের সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য জেলা প্রশাসকদের দৈনন্দিন কাজে পর্যটকদের সহায়তা করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার কাজ চলছে। জেলার প্রশাসন যাতে পর্যটক সংগঠক হিসেবে কাজ করতে পারে এ লক্ষ্যেই এই প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ইতোমধ্যে প্রেরণ করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য উপজেলা পর্যন্ত এই কার্যক্রমকে  অন্তর্ভুক্ত করা, যাতে সব পর্যটকের একটি আস্থার জায়গায় তৈরি হয়।’

প্রত্যেক দায়িত্বশীল মানুষকে তার জায়গা থেকে পর্যটনের উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে সিনিয়র সচিব অতিথির বলেন, ‘আমাদের দেশের পর্যটন গন্তব্যগুলোর ইতিবাচক প্রচারণায় সহায়তা করার জন্য গণমাধ্যমকে অনুরোধ করছি।’ ইতিবাচক সংবাদ পরিবেশনা ও প্রচারণার মাধ্যমে গণমাধ্যম দেশের পর্যটনের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান রাম চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে জুম কনফারেন্সে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ, টোয়াবের সভাপতি মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান, এভিয়েশন অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান ও বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মো. আরিফুর রহমান প্রমুখ।