প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের কফিন মিছিলে পুলিশের বাধা

প্রগতিশীল ছাত্রজোটের কফিন মিছিলে পুলিশের বাধাস্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদকে অপসারণের দাবিতে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে কফিন মিছিল যাত্রায় বাধা দিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশ ও জোটকর্মীদের ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে একজন নারী জোটকর্মী আহত হন। পরে সেখানেই (শাহবাগ মোড়ে) তারা সমাবেশ শুরু করেন। এ সময় শাহবাগ মোড়ের সব সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে কফিন মিছিল যাত্রায় পুলিশের বাধামিছিল শুরুর আগে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক ও প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমন্বয়ক রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের পর থেকে আমাদের দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার করুণ দশা দেখেছি। সরকার করোনা রোগীদের চিকিৎসা না দিয়ে তাদের ওপর ফি আরোপ করেছে। যার ফলে আমরা দেখছি ভেন্টিলেটরের অভাবে, আইসিইউয়ের অভাবে অনেক মানুষ করোনার চিকিৎসা করাতে না পেরে মারা যাচ্ছেন। অথচ স্বাস্থ্যমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বলেন, আমাদের ভেন্টিলেটরের দরকার নেই।’

ওওস্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির জন্য হয়তো জনের নাম সামনে আসছে। কিন্তু এটার জন্য আমাদের মন্ত্রণালয় এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যারা আছেন তারা দায়ী। সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই ব্যর্থতার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি।’

ততএ সময় তাদের পক্ষ থেকে পাঁচটি দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হচ্ছে– স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ডিজিকে অপসারণ করা ও সাহেদ-জেকেজি গংদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা; বিনামূল্যে করোনা টেস্ট ও সবার জন্য রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা; শিক্ষার্থীদের বেতন-ফি ও মেস-ফি মওকুফ করা; পাটকল বন্ধে গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও এর আওতায় গ্রেফতার ব্যক্তিদের মুক্তি দেওয়া।

গগপ্রগতিশীল ছাত্রজোটের এ কর্মসূচিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ শেষে শাহবাগ এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ছবি: হাসনাত নাঈম