লিফট থেকে পড়ে মারাত্মক আহত হয়েছে একজন, এমন খবরে উত্তরা ফায়ার স্টেশনের এম্বুলেন্স এসে সালমা পারভীনকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) তপন চন্দ্র সাহা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বিকেলে ছাদে(পঞ্চম তলায়) হাঁটতে গিয়েছিলেন সালমা পারভীন। বিকেলে বৃষ্টি আসায় তার স্বামী সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. শাজাহান ফোনে কল করে নিচে আসতে বলেন। ছাদ থেকে লিফটে করে নিচে আসতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
লিফটের দরজা খুলার পদ্ধতি সাধারণ লিফটের মতো না হওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেন তপন চন্দ্র সাহা। তিনি বলেন, লিফটের দরজা সাধারণ লিফটের মতো না। দরজা হাতে টেনে খুলতে হয়। নির্ধারিত ফ্লোরে লিফট না থাকলেও দরজা খুলে, না থাকলেও খুলে যায়। ছাদ থেকে নামার সময় দরজা টেনে লিফটে উঠতে পা বাড়ান সালমা পারভীন। কিন্তু লিফট তখনও ওই ফ্লোরে আসেনি, তা বুঝার আগেই হয়ত নিচে পড়ে যান। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে, তিনি চোখেও একটু কম দেখতেন।
উত্তরা ফায়ার সার্ভির্সের স্টেশন অফিসার মো. হানিফ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা কন্ট্রোল রুম থেকে তথ্য পাই। আমাদের এম্বুলেন্সে করে সালমা পারভীনকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়।
লিফট ঝুঁকিপূর্ণ ছিল কিনা তা পরবর্তীকালে খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।