আজ রবিবার (২৬ জুলাই) আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারের প্রায় অর্ধশতাধিক স্বেচ্ছাসেবী মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টকে শরবত খাইয়ে অনশন ভাঙান তিনি। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নতুন মহাপরিচালক আগারগাঁওয়ে আসেন।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার থেকে চাকুরি স্থায়ী করার দাবিতে শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির সামনে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টরা প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করেন, আজও চলছিল সে কর্মসূচি।
অনশন কর্মসূচিতে এসে নতুন মহাপরিচালক এই মহামারীর সময়ে নমুনা পরীক্ষায় স্বেচ্ছাসেবীর ভূমিকা পালন করায় তাদের ধন্যবাদ জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বার্তা নিয়ে এসেছেন জানিয়ে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাকে বলেছেন আপনাদেরকে এই বার্তা দেওয়ার জন্য যে আপনাদের বিষয়টি তিনি দেখবেন। আপনাদের তিনি বলেছেন কাজ চালিয়ে যেতে। এরপরও যদি আপনারা কাজ করতে না চান তাহলে তো জোর করে করানো যাবে না। বিষয়টি এমন নয় এখনই চাইলে পূরণ করে দেওয়া সম্ভব। কিছুটা সময় লাগবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের নিয়োগটা কেন হয়নি সেটা আমি জানি না। আমি আজ মাত্র জয়েন করেই এখানে এলাম। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় আমাকে আশ্বস্ত করেছেন এটার একটা ফয়সালা হবে। আমি ডিজি হিসেবে কথা দিতে পারি আমার পর্যায় থেকে এ বিষয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
তিনি বলেন, ‘যারা বিদেশ যেতে চান তাদের করোনা টেস্ট বাধ্যতামূলক। যাদের যাওয়ার সুযোগ আছে তাদের করোনা টেস্ট করা জরুরি। করোনাভাইরাস টেস্ট করতে না পেরে কাল অনেকের ফ্লাইট মিস হয়েছে, তাদের কথাটাও চিন্তা করতে হবে। এজন্য আমি মন্ত্রী মহোদয়ের মেসেজটা তাদের দিতে এসেছি।’
এর আগে রবিবার সকাল সকাল ১০টার দিকে মহাখালীতে অবস্থিত স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের নতুন স্বাস্থ্য ভবনে আসেন তিনি। বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে সেখান থেকে বের হয়ে মন্ত্রণালয়ে যান। বেলা বারোটার কিছু পরে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নানের কাছে তার যোগদানপত্র দেন। পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন তিনি।