নাছিমা বেগম বলেন, ‘মানবপাচারের শিকার হয় বেশিরভাগই নারী ও শিশু। তাদের প্রলুব্ধ করে প্রলোভন দেখিয়ে চাকরির নামে, বিয়ের নামে যেভাবে নিয়ে যাওয়া হয়, এগুলো নিয়ে যদি আমরা স্কুলে কলেজে বা কমিউনিটি পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারি, তাহলে কিন্তু এখানে আমাদের বড় ধরনের সফলতা আসবে। আমাদের নারীরা যদি সেভাবে প্রলুব্ধ না হয়, তাহলে পাচারের শিকার হওয়ার প্রবণতা কমে আসবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সবারই নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করতে হবে। প্রত্যেকে যদি নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করে যাই তাহলে আমার মনে হয় পরিস্থিতির অবশ্যই উন্নয়ন হবে। আমি আমাদের তরুণদের নিয়ে একটি কাজ করতে চাই। তাদের নিয়ে আমরা একটি মানবাধিকার সুরক্ষা ক্লাব করতে চাই। মানবাধিকার কী, কী করলে লঙ্ঘন হয়, এই বিষয়গুলো যদি আমরা তাদের প্রশিক্ষণ দেই এবং তারা যদি তৃণমূল পর্যায়ে অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করে তাহলে তারা আমাদের একটি বড় মাধ্যম হতে পারে। তাদের মাধ্যমেও কিন্তু আমরা মানবপাচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে পারবো। মানবপাচার প্রতিরোধে কমিশনের পক্ষ থেকে আমাদের যা কিছু করণীয় আমরা অবশ্যই করবো।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবু বকর সিদ্দিক। আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোজাফফর আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন এনজিও ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন। অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচনায় ছিলেন জাস্টিজ অ্যান্ড কেয়ারের কান্ট্রি ডিরেক্টর তরিকুল ইসলাম, ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান, ইনসিডিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাকসুদ আলী প্রমুখ।