‘২৪ ঘণ্টায় ডিএনসিসির সব বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে’

 

১৩কোরবানির প্রথম দিনের বর্জ্য গত ২৪ ঘণ্টায় শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সংস্থাটি বলছে, ঈদের প্রথম দিনের উৎপাদিত বর্জ্য পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে। রবিবার (২ আগস্ট) ডিএনসিসির জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থার প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়।

ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এম সাইদুর রহমান বলেন, ‘ডিএনসিসিতে পশু জবাইর ২৫৬টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। গত বছরের তুলনায় এবার এসব স্থানে পশু জবাইয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিএনসিসি থেকে কোরবানির মাংস বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কারণে আগর তুলনায় অনেকে উৎসাহিত হয়ে নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি দিয়েছেন। তবে আগামী বছর প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী, ডিএনসিসি মেয়র গাবতলীতে একটি অত্যাধুনিক স্লটার হাউস নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ডিএনসিসি’র পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং পিডব্লিউসিএসপি’র কর্মীরা পশু জবাইয়ের স্থান এবং বাসাবাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে প্রতিটি ওয়ার্ডকে বর্জ্যমুক্ত করেছে। গতকাল বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে ডিএনসিসির ৩১, ২৭, ৮, ১, ১৭, ১৯, ২০, ২৮, ২৯, ৩০, ৩২, ৩৩, ৯, ১০, ১১, ৩৯, ৪০, ৪১, ৫২, ৫৩ ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা তাদের নিজ নিজ ওয়ার্ড বর্জ্যমুক্ত ঘোষণা করেছেন। এরপর ক্রমান্বয়ে অন্যান্য ওয়ার্ডকেও বর্জ্যমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এসটিএস এবং নির্ধারিত স্থানে কন্টেইনারে বর্জ্য জমা হওয়ার পরপরই তা ল্যান্ডফিলে পরিবহনের কাজ শুরু হয়। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কোরবানির প্রথম দিনের বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার কম সময়ে অপসারণ করা হয়েছে।’

তিনি জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে নিজস্ব দুই হাজার ৬৬৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং অন্যান্য ব্যবস্থাপনাসহ মোট ১১ হাজার ৫০৮ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিরলস পরিশ্রম করে ঢাকা শহরকে বর্জ্যমুক্ত করেছেন। সব স্তরের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বর্জ্য অপসারণের কাজে জড়িত ছিলেন।