এলাকায় দলবল নিয়ে মহড়া দিচ্ছে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আসামি!

 

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালএকাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা জোবায়ের মনির জামিনের শর্ত ভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে তার জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন প্রসিকিউশন।

বুধবার (৫ আগস্ট) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামিন বাতিলের আবেদন করা হয়েছে বলে জানান প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম।

জেয়াদ আল মালুম বলেন, ‘আসামি জোবায়ের মনিরকে ঢাকার বাসায় থাকার শর্তে জামিন দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু সে শর্ত তিনি ভঙ্গ করে নিজ এলাকায় গিয়ে দলবল নিয়ে মহড়া দিচ্ছেন। আমাদের সাক্ষীদের ভয় ভীতি দেখাচ্ছেন। এ কারণে তার জামিন বাতিল চাওয়া হয়েছে।’

এখন ট্রাইব্যুনাল থেকে দিন নির্ধারণ করা হলে আবেদনটির ওপরে শুনানি হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে ২০১৬ সালের মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি লিখিত অভিযোগ দেন পেরুয়া গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা রজনী দাস। এরপর ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা এই গণহত্যার বিষয়ে খোঁজখবর নিতে শুরু করে। একপর্যায়ে এই গণহত্যায় যুক্ত থাকা ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এরপর ২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর জোবায়ের মনির, জাকির হোসেন, তোতা মিয়া, সিদ্দিকুর রহমান, আবদুল জলিল, আবদুর রশিদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ২০১৯ সালের ১৭ জুন রজনী দাসের করা মামলায় জোবায়ের মনিরসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. নুর হোসেন।

তবে জোবায়ের মনির অসুস্থতাজনিত কারণ দেখিয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ‘ঢাকা শহরে নিজ বাসায় অবস্থান করবেন, শহর ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে পারবেন না’এই শর্তে ট্রাইব্যুনাল থেকে জামিন পান। কিন্তু তিনি জামিনের শর্ত ভঙ্গ করে ঈদের আগের দিন শাল্লা উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে যান। ঈদের দিন পশু কোরবানি করেন। এরপর লোকজনকে নিয়ে নৌকা ও স্পিডবোটে করে এলাকায় ঘুরে বেড়ান। পরে গণমাধ্যমে বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর তার জামিন বাতিল চেয়ে আবেদনের সিদ্ধান্ত নেয় প্রসিকিউশন।

আরও পড়ুন- জামিনের শর্ত ভেঙে ঈদ করলো যুদ্ধাপরাধ মামলার আসামি