মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের উদ্যোগে হিরোশিমা স্মরণে প্রদর্শনী

Templateপ্রতি বছরের মতো এবারও ৬ আগস্ট হিরোশিমা দিবস পালন করেছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার কিছুটা ভিন্নভাবে, অনলাইনে প্রদর্শনীর মাধ্যমে দিবসটি পালন করেছে তারা। হিরোশিমা পিস মেমোরিয়াল মিউজিয়াম ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর যৌথভাবে এই আয়োজন করে।

বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) দিবসটির তাৎপর্য ও এই সংক্রান্ত নানা আয়োজন নিয়ে অনলাইনে বাংলা ও ইংরেজিতে দুটি ভিডিও প্রকাশিত হয়। এরআগে আয়োজনের সূচনা বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত এইচ. ই. মিস্টার ইতো নাওকি।

সূচনা বক্তব্যে আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতি বছর বাংলাদেশে যৌথভাবে এই আয়োজনের মাধ্যমে স্কুল শিক্ষার্থীদের মাঝে শান্তির বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়। কারণ আমরা ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বিশ্বকে জানাতে চাই। জাপান পৃথিবীর একমাত্র দেশ যারা পারমাণবিক বোমার ভয়াবহতা দেখেছে। তাই আমরা দীর্ঘদিন ঘরে পারমাণবিক অস্ত্র মুক্ত বিশ্ব গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি।

জাপানের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের মানুষের কাছে যুদ্ধ ও পারমাণবিক অস্ত্র মুক্ত বিশ্ব গড়ার বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা ও পারমাণবিক অস্ত্র মুক্ত বিশ্ব গড়তে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

দিবসটি উপলক্ষে প্রতিবছর শান্তি প্রতীক হিসেবে কাগজের সাদা সারশ বানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সাজায় বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষার্থীরা সেই কাগজের তৈরি সারশ বানিয়ে নিজেদের ঘরে। সেই সারশ দিয়ে সাজিয়েছে নিজেদের ঘর ও বারান্দা। অনেকেই ছবি তুলে পাঠিয়েছেন, সেগুলোও উঠে এসেছে ভিডিও প্রদর্শনীতে।

প্রসঙ্গত, ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমা এবং ৯ আগস্ট নাগাসাকি পারমাণবিক বোমা হামলার শিকার হয়। হামলার ৭৫ বছর পরও এর ভয়াবহতা বয়ে বেরাচ্ছে শহর দুটি।