সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে আগামী সপ্তাহ থেকে ভার্চুয়াল আদালতের পাশাপাশি শারীরিক উপস্থিতিতেও আদালত পরিচালিত হবে। প্রায় ৪০ জন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শারীরিক উপস্থিতিতে আদালত পরিচালনার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এতে করে ২২ থেকে ২৩টি বেঞ্চে উপস্থিতিতে বিচারকাজ পরিচালিত হতে পারে। তবে যারা শারীরিক উপস্থিতিতে আদালত পরিচালনা করতে ইচ্ছুক নন তাদের ভার্চুয়াল বেঞ্চ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের সব অধস্তন আদালতের স্বাভাবিক বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পরে গত ৯ মে রাষ্ট্রপতি ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনার অর্ডিন্যান্স জারি করেন। ওই অর্ডিন্যান্সের আলোকে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনার জন্য গত ১০ মে সুপ্রিম কোর্ট উচ্চ আদালত এবং অধস্তন আদালতের জন্য পৃথক পৃথক প্র্যাকটিস নির্দেশনা জারি করেন। এরপর ভার্চুয়াল আদালতের বিষয়ে আইন তৈরির পর দেশের আদালতগুলোতে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচারকার্য পরিচালিত হতে শুরু করে। তবে গত ৫ আগস্ট থেকে দেশের অধস্তন আদালতগুলোয় শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হয়।