স্বাধীনতার ইতিহাসে বঙ্গমাতা একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র: রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন

 

বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব, ছবি: সংগৃহীতওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে।

শনিবার (৮ আগস্ট) দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে দূতাবাসে বঙ্গমাতার জীবনের ওপর আলোচনা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ, বিশেষ মোনাজাত এবং জন্মদিনের কেক কাটার আয়োজন করা হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন বঙ্গমাতার জীবনীর বিভিন্ন দিক আলোকপাত করে বলেন, ‘তাঁর জ্ঞান, সাহস, দূরদৃষ্টি এবং বঙ্গবন্ধুকে অনুপ্রেরণা দেওয়ার কারণে বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের আন্দোলনকে যৌক্তিক পরিণতির দিকে নিয়ে গেছে।’

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব একদিকে নিজের সংসার, ছেলেমেয়েদের দেখাশোনা করেছেন, অন্যদিকে গ্রেফতারকৃত আওয়ামী লীগের নেতাদের পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন এবং সংগঠনকে সঠিক পথে চালিয়ে নিতে সাহায্য ও পরামর্শ দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান বঙ্গবন্ধুকে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে লাহোরে গোলটেবিল বৈঠকে যোগদানের প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু বেগম মুজিব প্যারোলে বঙ্গবন্ধুর মুক্তির বিরোধিতা করেছিলেন এবং নিঃশর্ত মুক্তির কথা বলেছিলেন। যদিও ওই সময় অনেক আওয়ামী লীগ নেতা বঙ্গবন্ধুর প্যারোলে মুক্তির পক্ষে ছিলেন।’ রাজনৈতিক পণ্ডিতদের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘যদি সেদিন বঙ্গবন্ধু প্যারোলে মুক্তি নিয়ে গোলটেবিল বৈঠকে যোগদান করতেন, তাহলে হয়তো বাংলাদেশের স্বাধীনতা সুদূরপরাহত হতো।’

দূতাবাসের ডিফেন্স অ্যাটাসে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈনুল হোসেন এবং মিনিস্টার (প্রেস) শামিম আহমদ যথাক্রমে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন। দূতাবাসের প্রথম সচিব এবং চ্যান্সারি প্রধান মো. মাহমুদুল ইসলাম অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।