জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
ডা. দীপু মনি ছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান।
অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধু: মানব ইতিহাসে মৃত্যুহীন এক মহাপ্রাণ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ।
ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘হত্যাকারীদের উদ্দেশ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শের ওপর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের ভিত্তিকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে পাকিস্তানি সামরিক, বেসামরিক ও সাম্প্রদায়িক ধারায় দেশকে ফিরিয়ে নেওয়া। অতএব এ হত্যাকাণ্ড ছিল বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। তাই হত্যাকারীরা রাষ্ট্রদ্রোহী ও মানবতার শত্রু। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মেজর জেনারেল জিয়া ও খোন্দকার মোশতাক যে সরাসরি সংশ্লিষ্ট ছিল ১৫ আগস্টের পূর্বাপর ঘটনাবলী তা অকাট্যভাবে প্রমাণ করে। ’
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঠিক তথ্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার দাবি জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘আইনের শাসন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে সঠিক তথ্য উপস্থাপনের প্রয়োজনে এখন সময় হয়েছে— একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা। যারা ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছে, প্রয়োজনে বিদ্যমান আইন সংশোধন বা পরিবর্তন করে তাদেরও মরণোত্তর বিচার হওয়া আবশ্যক।’
সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ‘১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ড হলো নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ড। মানব জাতির ইতিহাসে এই ধরনের হত্যাকাণ্ড বিরল। জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের কয়েকজনের বিচারের রায় ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে। বিদেশে যারা এখনও পালাতক রয়েছে বা আশ্রয় নিয়েছে, তাদেরকেও দেশে এনে আইন অনুযায়ী বিচারের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।"