৫০৫৪ নার্স নিয়োগে পিএসসি’র সুপারিশ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট

সুপ্রিম কোর্ট

সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে ৫০৫৪ জনকে নিয়োগের জন্য সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সুপারিশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রিট আবেদনকারী ৫১ জনকে নিয়োগ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, পিএসসির চেয়ারম্যানসহ পাঁচ জন বিবাদীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব রুল জারি করেন।

রিট আবেদনকারীদেরপক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক ও বিভূতি তরফদার। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জেসমিন সুলতানা সামসাদ।

এর আগে চার হাজার সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগের জন্য ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এই বিজ্ঞপ্তির আলোকে ১৬ হাজারের বেশি আবেদনকারী পরীক্ষায় অংশ নেন। পিএসসি ২০১৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে। এতে ১১ হাজার ৩৫৭ জনকে উত্তীর্ণ দেখানো হয়। এরপর সংশ্লিষ্টদের সনদ যাচাই শেষে ২০১৮ সালের ১১ জুন এক  হাজার ১৭ জনের ফল বাতিল করে নোটিস দেয় পিএসসি। এর ফলে চূড়ান্তভাবে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দেখানো হয় ১০ হাজার ৩৪০ জনকে। পরবর্তীতে এদের মধ্যে মেধা তালিকা অনুসারে ৫ হাজার ১০০ জনকে নিয়োগ দিতে পিএসসি ২০১৮ সালের ১৯ আগস্ট সরকারকে সুপারিশ করে। এই সুপারিশ অনুযায়ী সরকার তাদের নিয়োগ দেয়।

পরবর্তীতে চলতি বছরের মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে সরকার ৬ হাজার নার্স নিয়োগের জন্য পিএসসির কাছে চাহিদাপত্র দেয়। এর আলোকে ২০১৭ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৫০৫৪ জনকে নিয়োগের জন্য গত ৩০ এপ্রিল সরকারের কাছে সুপারিশ করে পিএসসি। এরপর সরকার তাদের সবাইকে নিয়োগ দেয়। নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে অযোগ্যতার কারণে পাঁচ জনের আবেদনপত্র  ২০১৮ সালের ১১ জুন বাতিল করেছিল পিএসসি।

এরপর ২০১৭ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও চূড়ান্ত নিয়োগ বঞ্চিত মো. জাবরুল ইসলামসহ ৫১ জন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।  সেই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করলেন।