অস্ত্র মামলার সাহেদের বিরুদ্ধে আরও ৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ

রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদরিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় আরও চার জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন। এ নিয়ে নয় জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো। সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার সাক্ষ্য দিয়েছেন– তপন চন্দ্র সাহা (পরিদর্শক), রবিউল ইসলাম (উপ-পরিদর্শক ), জাহাঙ্গীর আলম ও হাসান মাহমুদ নামে দুই ব্যক্তি।

এর আগে গত ২৭ আগস্ট এ মামলায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। গত ১৯ আগস্ট তিনি অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ২৭ আগস্ট দিন ধার্য করেন।

গত ৩০ জুলাই ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. শায়রুল আসামি সাহেদের বিরুদ্ধে এ চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন।

গত  ২৬ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানার পৃথক তিন মামলায় এবং উত্তরা পূর্ব থানার আরও এক মামলায় ১০ দিন করে মোট ৪০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাব। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক প্রত্যেক মামলায় সাত দিন করে মোট ২৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ১৬ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানার প্রতারণা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এর আগে গত ১৫ জুলাই ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ সাহেদকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। তার বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে। গ্রেফতারের পরই তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।

গত ৬ জুলাই র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। পরীক্ষা ছাড়াই করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিল তারা। র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত কমপক্ষে ছয় হাজার ভুয়া করোনা পরীক্ষার সনদের প্রমাণ পায়। একদিন পর গত ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে র‌্যাব রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেয়। রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ওইদিনই উত্তরা পশ্চিম থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকে সাহেদ পলাতক ছিল। সাহেদের খোঁজে সোমবার মৌলভীবাজারে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হলেও সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি।