অবসরে ফসিউল্লাহ, ডিপিই’র দায়িত্বে সোহেল আহমেদ

ফসিউল্লাহ ও সোহেল আহমেদচাকরির বয়স শেষ হওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. ফসিউল্লাহকে অবসর-উত্তর ছুটিতে পাঠিয়েছে সরকার। পরবর্তী মহাপরিচালক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত অধিদফতরের দায়িত্ব পালন করবেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ। এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
অতিরিক্ত উপ-সচিব আক্তারুন্নাহার স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করায় বদলি কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার জন্য তাকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত করা হলো। মহাপরিচালক পদায়ন না হওয়া পর্যন্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ আর্থিক ক্ষমতাসহ মহাপরিচালকের সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রসঙ্গত, ২ বছরেরও কম সময়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে (ডিপিই) তিন মহাপরিচালক (ডিজি) পরিবর্তন হয়েছেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় মো. আবু হেনা মোস্তফা কামালকে। এরপর মহাপরিচালক পদে ওই বছরের ৩০ জানুয়ারি নিয়োগ পান (অতিরিক্ত সচিব) এ এফ এম মনজুর কাদির। দায়িত্ব পালন শেষে গত ৩১ ডিসেম্বর অবসরে যান তিনি। এক বছরের কম সময় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এরপর গত ১২ জানুয়ারি মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান অতিরিক্ত সচিব মো. ফসিউল্লাহ্। পরদিন কাজে যোগ দেন। বছর পূর্ণ না হতেই অবসরে গেলেন তিনিও। তার শেষ কর্মদিবস ছিল ১৪ সেপ্টেম্বর।
এ পরিস্থিতিতে শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, মহাপরিচালকরা কাজ বুঝে নিতে না নিতেই তাদের বিদায় নিতে হয়। ফলে সমস্যা ও সংকট চলে বছরের পর বছর। এই পরিস্থিতির উত্তরণ চান শিক্ষক-কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, চুক্তিতে হলেও একজন ব্যক্তিকে মহাপরিচালক হিসেবে কমপক্ষে তিন বছর রাখা জরুরি।