ডিএসসিসি’র অভিযানে ৯ মামলা, সাড়ে ৮৭ হাজার টাকা জরিমানা

৩০০০

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ক্যাবল অপসারণ এবং এডিস মশার প্রজননস্থল শনাক্তকরণে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলমান রয়েছে। রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে পরিচালিত অভিযানে  ৯ মামলায় সাড়ে ৮৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

অভিযানের ২৪তম দিন রবিবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. ফয়সালের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ডিএসসিসির ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের নীলক্ষেত এলাকায় মশার প্রজননস্থল চিহ্নিতকরণে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি ২৯টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ২টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ২টি মামলা দায়ের করেন ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

পাশাপাশি অঞ্চল-২ এর আরামবাগ ও মতিঝিল এলাকায় ডিএসইসিসি'র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফেরদৌস ওয়াহিদের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত এডিস মশার প্রজননস্থল শনাক্তকরণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি ৪৫টি স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং ৪টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৪টি মামলা দায়ের করে ও ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এদিকে রবিবার নিয়মিত উচ্ছেদ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় পল্টন মোড় হতে নয়াপল্টনের ভিআইপি টাওয়ার পর্যন্ত অবৈধ ক্যাবল অপসারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ডিএসসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান। তিনি এসময় ১৫টি ইলেকট্রিক পোল হতে অবৈধ ক্যাবল অপসারণ করেন। এছাড়া পল্টন মোড়ে নান্না বিরানির রন্ধন কাজে ব্যবহৃত বর্ধিতাংশ ফুটপাতের ওপর থাকায় প্রতিষ্ঠানটিকে দুই হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এছাড়াও মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত পল্টন-নয়াপল্টন রোডের একটি ইলেকট্রিক পোলে একটি অস্থায়ী টং দোকান উচ্ছেদ করে, তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের ও ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এএইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ আজিমপুর, পলাশী, নীলক্ষেত ও কাটাবন এলাকায় অবৈধ ক্যাবল অপসারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি ১৪টি ইলেকট্রিক পোল হতে অবৈধ ক্যাবল অপসারণ করেন।   

ডিএসসিসি’র চারটি ভ্রাম্যমাণ আদালত সব মিলিয়ে ৯টি মামলায় ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।