বিড়ি কোম্পানির প্ররোচনায় সংসদ সদস্যদের তৎপরতা নজিরবিহীন: প্রজ্ঞা

প্রজ্ঞা

বিড়ি কোম্পানির প্ররোচণায় সংসদ সদস্যদের যে কোনও তৎপরতা নজিরবিহীন, যা প্রধানমন্ত্রীর ‘২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার’ অঙ্গীকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, বলে মন্তব্য করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান (প্রগতির জন্য জ্ঞান) প্রজ্ঞা।

মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়েরের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ এমন মন্তব্য করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিড়ির শুল্ক কমানোর জন্য অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন ১০ জন সংসদ সদস্য। অথচ তাদের সম্মতিক্রমেই  জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে চলতি (২০২০-২১) অর্থবছরের বাজেট। এবারের বাজেটে বিড়ির ওপর কোনও শুল্কই বাড়ানো হয়নি। বিগত চার বছরের ন্যায় এই বাজেটেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে বিড়ির সম্পূরক শুল্ক।  এ অবস্থায় বিড়ি কোম্পানির প্ররোচণায় সংসদ সদস্যদের এই তৎপরতা নজিরবিহীন— যা প্রধানমন্ত্রীর ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও  বলা হয়েছে, দেশীয় শিল্পের নামে বিড়ি কোম্পানিগুলো বছরের পর বছর নানা সুবিধা পেয়ে আসছে।  অর্থমন্ত্রীর কাছে লেখা চিঠিতে করোনায় লাখ লাখ বিড়ি শ্রমিকের বেকার হওয়ার যে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, তার কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক ২০১৯ সালে প্রকাশিত ‘দি রেভিনিউ অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট আউটকাম অব বিড়ি ট্যাক্সেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বাংলাদেশে বিড়ি শিল্পে  কর্মরত নিয়মিত, অনিয়মিত এবং চুক্তিভিক্তিক মিলিয়ে পূর্ণসময় কাজ করার সমতুল্য শ্রমিক সংখ্যা মাত্র ৪৬ হাজার ৯১৬ জন। সরকারিভাবে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হলে ৭৮ দশমিক ৪ শতাংশ বিড়ি শ্রমিক এই ক্ষতিকর পেশা ছেড়ে দিতে চায় বলে উক্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রজ্ঞা আরও বলেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, তামাক ব্যবহার করোনা মহামারিকে ত্বরান্বিত করে। অথচ করোনার অজুহাত দিয়েই সংসদ সদস্যরা বিড়ির শুল্ক কমানোর অনুরোধ জানিয়েছেন।  বিড়ি মালিকদের ফাঁদে পা না দিয়ে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার যে অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রী করেছেন, তার পূর্ণ বাস্তবায়নে সাহায্য করার জন্য নীতি প্রণেতাদের এগিয়ে আসতে হবে বলেও মনে করে প্রজ্ঞা।