সঞ্চারণশীল মেঘের কারণে বৃষ্টি, থাকতে পারে আরও দু’দিন

বৃষ্টিসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে সঞ্চারণশীল মেঘমালার সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে সারাদেশে কমবেশি বৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে কুমিল্লা, কক্সবাজার, তেঁতুলিয়া, রাজারহাট, টেকনাফ, তাড়াশ, বগুড়া ও ফেনীতে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি। গত তিনদিন আগে সৃষ্ট হওয়া লঘুচাপের কারণে আজও সমুদ্র ও নদী বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। এজন্য সমুদ্র বন্দরে ৩ এবং নদীতে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। 

আবহাওয়াবিদ আব্দুল হামিদ বলেন, লঘুচাপের কারণে যে মেঘের সৃষ্টি হয়েছে তার প্রভাবে প্রায় সারাদেশে বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী দু’দিন আকাশ পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত এই বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।  

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর আশেপাশের এলাকায় সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি  আরও পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ভারতের মধ্য প্রদেশে অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ,  লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তর পূর্ব দিকে আসাম পযন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।  মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় বিরাজ করছে। 

এর প্রভাবে রংপুর, খুলনা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ঢাকা,  রাজশাহী, রংপুর,  ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

এক সতর্কবার্তায় বলা হয়, লঘুচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগরসহ দেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। এজন্য দেশের চার সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে বিচরণ করা মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকাগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এছাড়া গভীর সাগরে বিচরণ করতে না করা হয়েছে। এছাড়া নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।